সোহেল মোহাম্মদীকে গ্রামে সবাই সোহেল নামেই বেশি জানেন ও চেনেন। কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের ইতিহাসে যে কজন লেখক ও কবি রয়েছেন তাদের মধ্যে সোহেল একেবারেই নতুন মুখ। নতুন হলেও তাঁর কবিতা লিখার অভ্যাস পুরনো। সাম্প্রতিকালে সোহেল মোহাম্মদী রঙ্গ বাজার নামে একটি কবিতার বই লিখে আলোচিত হয়েছেন। তাঁর জীবনের বাঁকে বাঁকে কর্মের ফাঁকে ফাঁকে ফুটিয়ে তুলেছে কবির দেখা জীবনবোধের চিত্র। এ জীবন সংসারে তাঁর রঙ্গীন চলাফেরা ভবের এই রঙ্গ বাজারে একেবারেই খাপ খায়নি। তাই কবি মনে দাগ লাগে রঙ্গীনের। তাইতো কবি ফিরে যান সাদাকালো জীবনে। নিজের শরীরেও সাদা ধবধনে লুঙ্গী ও জামা পরিধানে কবি মনের ভাব প্রকাশ করেছেন কবিতায়। সমাজের চিত্র কবিতায় রুপায়ন করেছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। মন সাংস্কৃতিক বলয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছে তাঁর প্রতিটি কবিতা। কদিন আগে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদীর হাতে বইটি উপহার হিসেবে প্রদান করেন। বইটি হাতে পেয়ে কবিতাগুলি পড়ে যা বুঝলাম কবিতার ক না বুঝলেও কিন্তু তাঁর কবিতা পড়লে বুঝা যায় কী বলতে চেয়েছেন কবি। যদিও কিছু কবিতায় কিছু বানান কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। শতভাগ সক কিছু হয় না তবুও তাঁকে ধন্যবাদ জানাই জীবনের প্রথম এ অবক্ষয়ের যুগে নিজেকে সাহিত্য সাংস্কৃতিক চর্চায় নিযুক্ত রেখেছেন। তাঁর কবিতার শিরোনামগুলি পড়লেই বুঝা যায় কি বলেছেন কবিতায়। কবিতাগুলি হলো- পাইনাপেল,অজ্ঞানের ঢোল,আঁচল, দর্শন, আকৃষ্ট, পাখি, ভূবন, রঙ্গবাজার, জনম, মূল্য, আপনা, অভিশাপ, শহর, অ-মিলন, উদয়, পথ,রঙবগ মায়া, ক্রাশ,স্মৃতির পাতা, লেনাদেনা, চিঠি, চশমা, আরশ, পাগল, অজ্ঞান, শুন্য ঘর, পাঠশালা, প্রিয় মুখ, অধম, অকাল, অ-ভাব, রাজনীতি, যৌবন, অমর সুদ্ধি ,অ-ভোগ, মহা অন্ধকার, মহা কর্তা, অরাজনীতি, বেতাল, চন্দ্রীমা, শুদ্ধ প্রেম, মত্বলোভ, প্রেমের মরা, মহাকাম, স্বর্গ, ঢেউ, স্ব-বিবেক, মহা নাট্য, রঙ্গ মেলা, শূন্য, স্বধর্ম, আলিঙ্গন, অন্ধ মন, অত্যাচার, পরম প্রেম, মহাবীর, রূপ ইত্যাদি।
বইটির প্রকাশক মোঃ আবদুল হাকিম, প্রচ্ছদ লেখক নিজেই। প্রকাশ বরেছে দাঁড়িকমা প্রকাশনী। মুদ্রণ করেছে চট্টগ্রামের দ্বীপশিখা প্রিন্ট্রিং এ- প্রেস। মূল্য ধরা হয়েছে দেড় শ টাকা। বইটি উৎস্বর্গ করা হয়েছে কবির মা মোছাঃ হেনা আক্তার বাবা মোঃ সুলতান উদ্দিন ও শাহ শেখ মাহবুবুল আলমকে।
৬৪ পৃষ্ঠার ৬৪টি কবিতার লেখক সোহেল মোহাম্মদীর উত্তোরোত্তর সফলতা ও মঙ্গল কামনা করি মহান আল্লাহর কাছে। তাঁর লিখনীর ধারা অব্যাহত থাকুক। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।