শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চাপ বাড়ে। তবে পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রােতে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে।
সকাল ৯টা পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকলেও এরপর থেকে কয়েকটি লঞ্চ বন্ধ রেখে বাকি লঞ্চ চলাচল করছে। এদিকে এ রুটে তীব্র স্রােতের কারণে ১৭টি ফেরির মধ্যে চলছে মাত্র ৭টি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, পদ্মায় তীব্র স্রােতের কারণে ছোট ৯টি লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। পরে সকাল ৯টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল করছে। স্পিডবোটও সর্তকতার সঙ্গে চলাচল করছে। তবে ফেরিতে ব্যক্তিগত পরিবহন ও মোটরসাইকেল বেশি পারাপার হচ্ছে। তবে বিকল্প চ্যানেলের ভাটিতে পালেরচর হয়ে ফেরিগুলো ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যানবাহন নিয়ে কোনমতে চলছে। এতে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। এই ঈদেও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঘাট এলাকায় পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র একাধিক টিম ঘাটে অবস্থান করছে।
কাঁঠালবাড়ী ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মো. আক্তার হোসেন জানান, ঈদ শেষে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি নৌযান ও যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছে। কোন অবস্থাতেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে দেওয়া হবে না।