রাজবাড়ীতে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে আবারও মানহানীর মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাজবাড়ী দুই নম্বর আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী মনোয়ার হোসেন জনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আদালতের বিচারক সুধাংশু শেখর রায় এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন হায়দার।
মামলায় বলা হয়, ‘মামলার বাদী প্রেষণে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। বিবাদী ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর ফেসবুক আইডিতে ‘পাংশার অধ্যক্ষ আরজ এর বাড়িতে বোমা হামলার নায়ক জনি এবং ইউসুফ মেম্বার, নেপথ্যে এমপি জিল্লুল হাকিমের পুত্র মিতুল হাকিম’ লিখে প্রচার করেন। একই তারিখে ‘এই সেই মনোয়ার হোসেন জনি যাহাকে গ্রেপ্তার করলে মিলবে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার’ লিখে বাদীর ছবি যুক্ত করে প্রচার করেন। ১ আগস্ট ‘স্যালুট রাজবাড়ীর পুলিশকে, রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি জিল্লুল হাকিমের পুত্র মিতুল হাকিমের নিজস্ব ক্যাডার গ্রুপ মনোয়ার হোসেন জনির নেতৃত্বে হাতুড়ি বাহিনীর দুর্ধর্ষ ক্যাডার আলামিন মন্ডলকে দেশে তৈরি একটি শুটার গান, ৫ রাউন্ড গুলি ও চাপাতিসহ পাংশা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে’ লিখে প্রচার করে। এতে বাদীর এক কোটি টাকার মানহানী হয়েছে।
প্রবীর শিকদার বলেন, ‘সে একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও একটি স্বশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়। একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা হিসেবে কি করে এই মামলা করতে সাহস পায়, তা ভেবে আমি বিস্মিত!’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের নেতা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ হোসেন বাদী হয়ে ১০ লাখ টাকার মানহানীর মামলা দায়ের করেন। ইউসুফ মাঝবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম শিক্ষক।