ভৈরবে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মো: মাকমুদুল ইসলাম(১৮) নামে এক পর্যটকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার তুলাতলি এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ওই পর্যটকের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষীতে ময়নাতদন্ত ছাড়া সন্ধা ৭টায় লাশ স্বজনদের হাতে হস্থান্তর করা হয়েছে।সে নরসিংদী জেলার মনহরদী উপজেলার চক মাধবদী গ্রামের আবদুল কাদির মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে মাকমুদুল ও তার ৬/৭ জন বন্ধু মিলে ভৈরব মেঘনা ত্রিসেতু এলাকায় বেড়াতে আসেন। বেড়ানোর একপর্যায়ে বিকেল চার টার দিকে মেঘনা নদীতে গোসলে নামেন তারা। গোসলের সময় সাতাঁর কাঁটার একপর্যায়ে পানির তীব্র স্রােতে মো: মাকমুদুল ইসলাম তলিয়ে যায়। এ সময় তার সাথে সাথে থাকা বন্ধুদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরে খবর পেয়ে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু পানির স্রােত ও গভীরতা বেশী থাকায় মাকমুদুলকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পরে কিশোরগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে সন্ধা ছয়টার দিকে পাঁচ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উপস্থিত হয়ে কয়েক ঘন্টা ব্যাপি উদ্ধার তৎপরতা চালানো পরও পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ওই পর্যটকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার বিকেল পাচঁটার দিকে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার তুলাতলি এলাকায় মেঘনা নদী থেকে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ভৈরব নৌ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ও স্থানীয়দের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে তিনদিন আগে নিখোঁজ হওয়া মোঃ মাকমুদুল ইসরাম এর বাবা আবদুল কাদির ও চাচাতো ভাই তার লাশ সনাক্ত করেন।
এবিসয়ে ভৈরব নৌ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের তিনদিন পর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষীতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ স্বজনদের হাতে হস্থান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও এমন মৃত্যুকে মর্মান্তিক উল্লেখ করে অপ্রয়োজনে নদী ভ্রমণ থেকে বিরত থাকাসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।