ঝড়ের কবলে পড়ে অবহায় ভ্যানচালক নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছে বগুড়া জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নতুন ঘর উদ্বোধন করতে গিয়ে অসহায় ওই পরিবারকে ২ মাসের খাবারও দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে বগুড়ার মালতীনগর এলাকায় স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার সরকারি জমিতে ভানচালক রঞ্জু মিয়ায় মাটির ঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এরপর তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আশ্রয় নেওয়া এই পরিবারের ছবি তুলে জেলা প্রশাসাকের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের ফেসবুক মেসেঞ্জারে দেন। এরপর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনা জেনে রঞ্জুকে একটি ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
রঞ্জুর একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান রয়েছে। এই ভান চলিয়ে সংসার চালান। তবে তার সামর্থ ছিল না নতুন ঘর তৈরি করার। এর মধ্যে করোনার থাবায় বিপর্যস্ত সবকিছু। জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে থাকল রঞ্জুর স্বপ্নের ঘর। অবশেষে নির্মাণ করা হলো আধাপাকা ঘর। সাথে রয়েছে বারান্দা, রান্নাঘর ও ওয়াশরুম। বৃহস্পতিবার তা উদ্বোধনও করা হয়েছে।
উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আছলাম আলী প্রমুখ।
ঘর পাওয়ার পর অভিব্যক্ত প্রকাশ করে রঞ্জু মিয়া মোবাইলে জানান, ‘এভাবে ঘর পাওয়া অসাধারণ এক অনুভূতি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা মতো নয়। তবে আমি একটা কথাই বলতে চাই, আল্লাহ যেন স্যারের (পুলিশ সুপার) ভালো করেন।’
জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা মোবাইলে বলেন, ফেসবুকে জানতে পারি রঞ্জু মিয়ার ঘর ভাঙ্গার পর অন্যের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। এটি জানার পর তাৎক্ষণিক ঘর তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রঞ্জুর স্ত্রী সেলাইয়ের কাজ শিখতে বলা হয়েছে। তিনি কাজ শিখলে তাকে একটি সেলাই মেশিনও কিনে দেওয়া হবে। এতে তাদের আয়ের পথও বাড়বে।