বগুড়ার শেরপুরে গরু কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দফায় দফায় মারধরের ঘটনায় লাঠির আঘাতে আসাদুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যাক্তি মারা যায়। ঘটনাটি গত ৮ আগস্ট উপজেলার শাহবন্দেনী ইউনিয়নের খন্দকার টোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঘটে।
৯ আগস্ট রোববার ভোরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। তবে মৃত ব্যাক্তি একজন ফেরিওয়ালা আইক্রিম বিক্রেতা।
জানা যায়, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নরে চকপোতা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে শাহ আলম গত ৪-৫ দিন আগে পাশের খন্দকার টোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে রেজাইল করিমের কাছে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে একটি গরু বিক্রি করে। শাহ আলমের আত্মীয়স্বজন গরুর দাম কম হয়েছে বলে উস্কানী দিলে সে গরু ফেরত আনতে যায়। গরু ফেরত না দেয়ায় গত ৭ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহ আলম লোকজন নিয়ে রেজাউল করিম সহ কয়েকজনকে মারধর করে চলে যায়। পরদিন শনিবার সকাল ৮ টার দিকে আবারো লাঠিসোঠা নিয়ে এসে ওই বাড়িতে হামলা করে নাসিমা, আজাদ, আজিজুল, আছিয়া ও মুন্টুসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে চলে যায়। পরে রেজাউলে বাড়ির লোকজন তাদের পিছন পিছন গিয়ে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। এই খবর শাহ আলমের লোকজন পেয়ে তারা আবারো লাঠিসোঠা নিয়ে এসে রেজাউলের আত্মীয় অসুস্থ আসাদুলকে রাস্তায় একা পেয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। শাহ আলমরা চলে গেলে পরিবারের লোকজন আসাদুল কে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট রোববার সকাল ৬ টায় সে মারা যায়। মৃত আসাদুল ইসলাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আইক্রিম ফেরি করে বিক্রয়ের মাধ্যমে দিনাতিপাত করছিল।
এ ব্যাপারে নিহত আসাদুলের ছোট ভাই মুন্টু মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত আসাদুল হাসপাতালে মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) মো. গাজিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।