ভাতাজির সাথে দিনমুজুরের মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীকে (১৩) বাড়িতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ কথিত নানার বিরুদ্ধে। গত রোববার রাতে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল সোমবার (১০ আগস্ট) ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্ধী রের্কড করার জন্য নেত্রকোণা জেলা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার লেগুরা ইউনিয়নের চেংগ্নী গ্রামে অভিযুক্ত প্রতিবেশি কথিত নানা আবু তাহের ওরফে আবুল (৫০) ওই গ্রামের আমির হোসেন ওরফে তারুর ছেলে। সে পেশায় একজন পান ব্যববায়ী।
গত রোববার বিকালে সামাজিক ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টার চলছে এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত কথিত নানা পালিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ভিকটিমের বড় বোন ও ভগ্নিপতি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ঈদের দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আবুল ভিকটিমের বাড়ির পাশের তার ভাই বাড়িতে আসে গরুর জন্য খড় নিতে। খড় নিয়ে যাবার সময় অভিযুক্তের ভাতিজির বায়না ধরে চাচার সাথে তার বাড়িতে যাবে। পরে আবুল নিজ ভাতিজিকে কোলে নিয়ে ভিকটিমের পরিবারের সম্মতিতে ভিকটিম আবুলের সাথে খড় নিয়ে বাড়িতে যায়। ওই রাতে আবুলের পরিবারের লোকজন না থাকায় অভিযুক্ত ভিকটিমের কাপড় খুলে শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে ও যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে ভিকটিম বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজন জানালে পারিবারিক ভাবে মীমাংসার পর্যায়ে চলে যায়। কিন্তু ভিকটিমের বড় বোন ও ভগ্নিপতি চাকুরির সুবাদে বাড়িতে না থাকায় পরে বাড়িতে এসে আজ রোববার স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশী জমায়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়।
এবিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের কে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস,আই শহীদুল ইসলাম শহীদ ও এস,আই নুর আলমসহ পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে পাঠায়। প্রতিবন্ধী শিশুর ধর্ষনের চেষ্টা ঘটনা সত্যতা পাওয়ায় তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল সোমবার সকালে ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্ধী রের্কড করার জন্য নেত্রকোণা জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।