স্বাবলম্বী কে না হতে চায়। তেমনি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এক যুবক ২০১৬ সালে তিনটি পুকুর খনন করেন।। মৎস্য অফিস, বেসরকারী এনজিও আশা ও কৃষি ব্যাক থেকে ২ লাখ টাকা লোন নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। সেই থেকে শুরু। তিনি মৎস্য অফিসের একজন তালিকা ভুক্ত মৎস্য চাষী। সেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন ভাসিয়ে নিয়েছে গেছে বৃষ্টির পানিতে। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের এক মৎস চাষীর কয়েক দিনের অতি বৃষ্টির ফলে ৩টি পুকুরের পাড় (চালা) ভেঙ্গে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার কয়েক টন মাছ ভেসে গেছে খালে, বিলে আর মাঠে। এতে ওই চাষী ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তার স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই চাষীর নাম মো. রেজাউল করিম ঝুটু। সে চর লক্ষীপুর গ্রামের মৃত হাজী মোসলেম মোল্যার ছেলে।
সরেজমিনের বড়াইল-চর লক্ষীপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায় ওই মৎস চাষীর অতি বৃষ্টির কারণে ৩ একর জমিতে খনন করা পাশাপাশি তিনটি পুকুরের দুই পাড়ের কিছু অংশ ভেঙ্গে স্রােতের তোরে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে এবং মাঠে মাছ ভেসে গেছে।
মৎস চাষী মো. রেজাউল করিম ঝুটু জানান, মৎস অফিস, কৃষি ব্যাক এবং আশা থেকে লোন নিয়ে তিনটি পুকুরে যশোহর থেকে রুই, কাতলা, মুগাল, চিলভার ক্যাপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা পুকুরগুলোতে ছেড়েছি সেই সাথে গত বছরগুলোর মাছ পুকুরে ছিল যার মধ্যে কিছু মাছ দুই থেকে তিন কেজি ওজনের। বৃষ্টির ফলে আমার পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই মৎস চাষী জানান আগামী মৌসুমে পুকুরের মাছ বিক্রি করে লোনের টাকা পরিশোধ করে সংসারে সাচছন্দ ফিরিয়ে আনব। তিনি জানান মাছের খাদ্য ফিডের দোকানে প্রায় লক্ষাধিক টাকা বাকী রয়েছে। এখন কিভাবে এ টাকা পরিশোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।
মৎস্য চাষী রেজাউল করিম আরো বলেন আমি পুকুরের মাছ বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়ার পর পর উপজেলা মৎস অফিসে জানালেও অফিস থেকে কেউ সরজোমিনে এখন পর্যন্ত আসেন নাই।
এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেরা মৎস্য কর্মকর্তা শিরিন শারমিন খান বলেন আমাকে এ বিষয়ে কেউ বলেননি এই মাত্র আপনার কাছ থেকে জানলাম। আমি উর্ধোতন অফিসে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেব। বৃষ্টির পানিতে এমন আরো কারো পুকুরের মাছ ভেসে গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন কেউ আমাদের অফিসে এখনো এ ধরনের খবর দেই নাই।