নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রওশন কার্নিজের স্বামী সদর ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি আমিনুর রহমানের খামারের মুরগীর বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। করোনা দূর্যোগে মসজিদ সংলগ্ন আবাসিক এলাকা হতে খামারটি অন্যত্র সরানোর দাবীতে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনমের নিকট ৩১ জনের স্বাক্ষর করা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। ডোমার সদর ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ডের জুম্মাপাড়া এলাকায় ওই খামারটি অবস্থিত।
অভিযোগে জানা গেছে, এলাকাবাসীর প্রবল আপত্তি সত্বেও জুম্মাপাড়া জামে মসজিদের সাথে লাগানো আবাসিক এলাকায় ব্রয়লার ও সোনালী মুরগীর খামার স্থাপন করেন কৃষক লীগ সভাপতি আমিনুর রহমান। খামারে বর্তমানে তিন হাজারের মতো মুরগী আছে। মুরগীর বিষ্ঠার গদ্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। মসজিদের মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে সমস্যাসহ করোনা দূর্যোগে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘিœত ও বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। তারা দ্রুত মুরগীর খামারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবী করেছে।
খামারী সদর ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী আমিনুর রহমান বলেন, আমার জমিতে আমি মুরগীর খামার করেছি। এখানে কার কি? ব্রয়লার মুরগী বিক্রি করেছি। বর্তমানে সোনালী মুরগী আছে।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রওশন কার্নিজ বলেন, খামারের জন্য যদি কারো সমস্যা হয়, তাহলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম জানান, মুরগীর খামারে জন্য এলাকাবাসীর সমস্যা হলে অন্যত্র সরানো হবে।