নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভুয়া র্যাব সেজে এক নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সাথে ওই লোকের বাসা থেকে লুট করা হয়েছে স্বর্ণালংকার। ৩০ জুলাই রাতে শহরের হাতিখানা মাছুয়া পাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগে জানা যায় ওই এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আলি তার মোটর সাইকেলে ওষুধ আনার জন্য বাজারে আসছিল। ক্যান্ট বাজার মোড়ে তার গতিপথ রোধ করে ৬ জন হেমলেট পড়া ব্যক্তি। এ সময় তারা নিজেদেরকে র্যাব পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তিকে জোড়পুর্বক তাদের মোটর সাইকেলে তুলে নেয়। নিয়ে যায় পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি নামক স্থানে। সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে রক্তাক্ত করা হয়। ক্রোস ফায়ারের কথা বলে তার কাছে দাবি করা হয় ২ লাখ টাকা। প্রাণ বাঁচাতে ওই ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। তাদের কথা মতো আটক ব্যক্তি বাসায় তার স্ত্রীকে ফোন করে বলে লোক গেলে তাদের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিতে। ৩ জন ব্যক্তি তাকে আটকে রাখে আর ৩ জন টাকা নেয়ার জন্য তার বাসায় যায়। বাসায় গেলে আটক ব্যক্তির স্ত্রী তাদেরকে বসতে বলে ডয়ার খোলেন টাকা বের করার জন্য। এ অবস্থায় ওই ৩ ব্যক্তি তার স্ত্রীকে মারপিট করে। চাবি কেড়ে নিয়ে ডয়ার থেকে ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের ২টি ও রুপার ১টি আংটি যার আনুমানিক মূল্য ১৪ হাজার টাকা হবে নিয়ে সটকে পড়ে। এরপর তারা আবার চলে যায় তার কাছে। টাকা পেয়েছে এমন কথা বলে আবার তাকে নিয়ে যায় সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর বাজারে। সেখানে তাকে একটি বদ্ধ ঘরে আটকে রাখা হয় ২ ঘন্টা। সেখান থেকে রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় নিয়ে যাওয়া হয় হাতিখানা কবরস্থান নামক জায়গায়। সেখানে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে হুসিয়ার করে দেয়া হয় এ ঘটনার কথা কাউকে না বলার। পরদিন আহত ওই ইউসুফ আলি সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়।
এ বিষয়ে ওই ব্যক্তি ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনা তদন্তে যান। সৈয়দপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি আবুল হাসনাত খান জানান অভিযোগকারী একজন মাদক ব্যবসায়ি। তাছাড়া র্যাব পরিচয়ে তাকে জিম্মি করে অর্থ আদায় ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই মামলা নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে অভিযোগকারী বলেন ঘটনা সত্য। পুলিশ আসামীদের ধরলে সত্য বেড়িয়ে আসবে।