দেবহাটা থানার ১শত গজের মধ্যে সাংবাদিকের বাড়িসহ কয়েকটি চুরি সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন চোর আটক হয়নি বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। উপজেলা সদরে পরপর এধরনের চুরির ঘটনা ঘটনায় জনমনে সংশয় যেমন বাড়ছে তেমনি ঐ চোর চক্রটি নির্বিগ্নে চুরি সংগঠিত করছে। যার কারণে এতে করে একদিকে আইনশৃঙ্খলার যেমন অবনতি হচ্ছে ঠিক তেমনি এলাকায় অবৈধ কাজের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জর্জকোর্টের শিক্ষানবীশ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউল করিম বাপ্পার দেবহাটা উপজেলা সদরস্থ দেবহাটা থানা থেকে মাত্র ১ থেকে ১৫০ গত দুরত্বে অবস্থিত বাড়িতে একটি সংঘবদ্ধ চোরদল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দুঃসাহসিক চুরি করে। এ সময় চোরেরা সাংবাদিকের বাড়ি থেকে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সাংবাদিক আর.কে.বাপ্পা বাদী হয়ে ৬ আগস্ট দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ দেয়ার ৫ দিন অবিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোন চোরকে থানা পুলিশ আটক করেনি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা ও থানার সেকেন্ড কর্মকর্তা নয়ন চৌধুরীকে বারবার মৌখিকভাবে বললেও তারা কোন গুরুত্ব দেননি। সাংবাদিক আর.কে.বাপ্পা জানান, এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন ও ওসি বিপ্লব কুমার সাহাকে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২/১ দিনের মধ্যে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ডেকে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। সাংবাদিকের বাড়িতে চুরির ঘটনার পরে গত ৮ তারিখ রাত ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে দেবহাটা থানার ৩ শত দূরত্বে ব্যবসায়ী ঝন্টু দের বাড়িতে সংঘবদ্ধ চোরেরা হানা দেয়। কিন্তু এ সময় ঝন্টু দে দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে চোরদল পালিয়ে যায়। ঝন্টু দে জানান, চোরেরা মুখে গামছা ও হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় ছিল। একই রাতে উপজেলা সদরের আবুল কালাম পলাশের হার্ডওয়ারের দোকান ও তন্তু ইসলামের ভ্যারাইটি স্টোর থেকে চোরেরা চুরি করে। ঐ একই রাতে উপজেলা সদরের পঙ্কজ দত্তের মুদিখানার দোকানটি অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মিভূত হয়। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পায়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজন ভর্তি হয়েছে। পরে খোজখবর নিয়ে জানা যায়, অগ্নিদগ্ধ হওয়া ব্যক্তির নাম শাওন। সে দেবহাটা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের সালাহউদ্দীনের পুত্র। ওই শাওনকে কয়েকদিন আগে দেবহাটা থানার এসআই আবু হানিফ একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার করে। ওই শাওনের সাথে উপজেলা সদরের আবদুর রহিমের ছেলে আবদুস সামাদ ও কোড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আবু রায়হানকে সবসময় ঘুরতে দেখা যায়। আবু রায়হান দেবহাটা থানার চুরি, ছিনতাই ও মাদক মামলার আসামি এবং আবদুস সামাদের বিরুদ্ধেও একাধিক চুরির অভিযোগ আছে বলে এলাকাবাসী জানায়। প্রশ্ন থেকে যায়, পঙ্কজ দত্তের দোকানে রাত ৩ টার দিকে আগুন লাগে আর ঐ রাতে শাওন ওখানে কি করছিল। আর কেনইবা তার পা দুটো পুড়ে গেল। এ বিষয়টি নিয়েও দেবহাটা থানার সেকেন্ড কর্মকর্তা নয়ন চৌধুরীকে পঙ্কজ দত্তসহ স্থানীয়রা বারবার বললেও তিনি কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পুলিশ যদি এই গ্যাংটিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে এই সকল চুরির রহস্য উদঘাটন হবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। পঙ্কজ দত্ত তার দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গত ৯ আগস্ট দেবহাটা থানায় একটি জিডি করেছেন। যার নং- ২৬৯। পুলিশ এই বিষয়ে নিষ্ক্রিয় কেন এই প্রশ্ন সকলের। বিষয়টি সচেতন মহল সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।