বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৈকুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিল আত্মসাৎ, ভ্রমণ ভাতা ও জাতীয় কাব ক্যাম্পুরীতে ভুয়া যোগদান দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কৈকুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খানে আলম খান দীর্ঘ দিন যাবৎ বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে ভুয়া বিল উপস্থাপন করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিলের উত্তোলন কাগজপত্রে দেখা যায় গত জুন/২০ এ ওই বিদ্যালয়ের জুলাই/১৯ থেকে মার্চ/২০ পর্যন্ত বিল দেখানো হয়েছে ১৬,৭৭২ টাকা। প্রকৃত পক্ষে বিদ্যুৎ বিলের কাগজে ওই ৯ মাসে বিল ৭,৮৩৪ টাকা। তাছাড়া প্রকৃত বিদ্যুৎ বিল উপস্থাপন না করে একবার বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে এবং আরেক দফায় তার ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে দুই দফায় একই বিল মোট ৩৩৫৪৪/- টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খানে আলম খান এর সাথে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম দেওয়ান ও তৎসময়ের উচ্চমান সহকারি ফকরুল ইসলাম যোগসাজসে অন্যান্য বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা ভ্রমণ ভাতা দেওয়া হলেও প্রধান শিক্ষক নিজ হাতে তৈরিকৃত ভাউচারে ৯০০ টাকার স্থলে ৫১০০ টাকা উত্তোলন করে নেয়। একই ভাবে গত ১৮ জানুয়ারী থেকে ২৪ জানুয়ারী জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মৌচাক গাজীপুরে ৯ম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরীতে যোগদান দেখিয়ে ভুয়া নথি তৈরি করে ৫২৮০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে নেয়। বাস্তবে দেখা যায় ওই কাব ক্যাম্পুরীতে অত্র উপজেলার একমাত্র বিদ্যালয় থেকে সাস্তাহার বি,পি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদমদীঘি, বগুড়ার সহকারী শিক্ষক জনাব নাসিমা বেগম অংশগ্রহণ করেন। ওই অংশ গ্রহণকৃত চিঠিপত্র কৈকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খানে আলম খান নিজ হাতে জাল করে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে বিল পাস করান। এমনকি প্রধান শিক্ষক খানে আলম খানের উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাথে সক্ষতা থাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস বুক দেখে শিক্ষকদের অভিনব কায়দায় শিক্ষকদের হয়রনি করে থাকেন। কোন শিক্ষক প্রতিবাদ করলে সে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক খানে আলম খানের সাথে এ প্রতিনিধির মুঠফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয় এবং পরে সাক্ষাতে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুল হক দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভুলভ্রান্তির যাই ঘটুক, অভিযোগকারীদের সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে। সেই সঙ্গে গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে বসে খুশি করা হবে।