লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরশহরস্থ সোনাপুর আটিয়া বাড়ির দুর্বৃত্তদের আঘাতে গুরুতর আহত নির্মাণ শ্রমিক রিয়াদ হোসেন ১১দিন পওে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোমবার বিকেলে মৃত্যু হয়। নিহত রিয়াদ হোসেন সোনাপুর আটিয়া বাড়ির মৃত কলিম উল্যার ছেলে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দুই জনকে আটক করেন।
সূত্রে জানান রামগঞ্জ পৌর সোনাপুর আটিয়া বাড়ির দুস্কৃতিকারী হৃদয়,পাবেল ৩১ শে জুলাই শনিবার রাতে ১১ টার দিকে নির্মান শ্রমিক রিয়াদকে ঘুম থেকে ডেকে বাহিরে নিয়ে যায়। রাতে দুর্বৃত্তরা কৌশলে একই বাড়ির মৃত আমিনুর রহমানের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে তাকে মুখে,ঘাড়ে,পিঠে, মেরুদণ্ড মারাত্মক আঘাত করে অচেতন অবস্থা বসতঘরের সামনে ফেলে যান।
বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত রিয়াদকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তৃব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১দিন পরেই রিয়াদ সোমবার বিকেলে মারা যায়।
সৃষ্ট ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করলে পুলিশ বিকেলে এজাহারভুক্ত আসামি পাবেল হোসেন, রিয়াদ হোসেনকে আটক করেন। বাদী সাদ্দাম হোসেন জানান তার ভাইকে আঘাত করে হত্যা করেন।
থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আটক হওয়ায় দুই আসামীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে বিঞ্চ বিচারক জেল হাজতে প্রেরন করে।