রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তাঁর নাম ইতি খাতুন (১৯)। তিনি উপজেলার যশাই ইউনিয়নের পারভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের ফজলু মন্ডলের মেয়ে। পাংশা আইডিয়াল গার্লস কলেজের ছাত্রী ইতি খাতুন চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরিবারের অভিযোগ, প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে (বোন মোর্শিদা) অভিযোগ করেন, ইতির সঙ্গে শাহবুদ্দিন ওরফে কিরণ নামে এক যুবকের প্রমের সম্পর্ক ছিল ইতির। শাহবুদ্দিন কুষ্টিয়াতে পুলিশে চাকুরি করে। ৬ আগস্ট ইতি শাহবুদ্দিনদের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর থেকে ইতি খুব বিষর্ণ হয়ে পড়ে। অন্য মনস্ক ছিল। সোমবার সন্ধ্যার দিকে সবার অলক্ষে সে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের ধারণা, প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে জেনেছি, মেয়েটির একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক ভাবে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়ে ছিলো। এতে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। তবে কার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল সে বিষয়ে জানি না। এ বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করে নাই।