ঘরে আড়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর (২০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলায় খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামে গৃহবধূ শান্তা আক্তারের স্বামীর গৃহে এ ঘটনা ঘটে। মৃত গৃহবধূর স্বামী একই গ্রামের মো. আসাদ উল্লাহ র ছেলে জিয়াউল ইললাম (২৫)। মৃতের স্বামী ভাড়ায় মোটর সাইকেল ও অটো চালক ছিল। মৃত গৃহবধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল মৃতের মা’র দাবি। বুধবার দুপুরে শান্তা আক্তারের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী জিয়া সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে আদালতে হাজিরা দেবে বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিহত গৃহবধূর চাচাতো দেবর জাহিদ (৯) ঘরে উকি দেখে ঘরের আড়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো ভাবী শান্তাকে ঝুলতে দেখে। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে মৃতদৃহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মৃতের মা শেফালী আক্তার বলেন, গত দুবছর আগের তাদের মধ্যে প্রেমের পর সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। তার মেয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করতো বলে তিনি জানান।
মৃত গৃহবধূর স্বামী জিয়াউল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেন মুস্তাকিম নামে দূর সম্পর্কে মামা পরিচয়ে বলেন, মারামারির মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলাম। জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেেেছন মোবাইলটি আমার কাছে রেখে গেছে। জিয়াউলের স্ত্রী’র মৃত্যু কথা জানালে বলেন, শুনেছি এর বেশি কিছু তিনি জানেন না।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা এ ঘটনাটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। মৃতদেহটি বুধবার দুপুরে ময়নতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।