ফরিদপুরে দু’দফার বন্যায় প্রায় ১৩হাজার২৯৭ হেক্টোর ফসলী জমি তলিয়ে যায়। বন্যার পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ১০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের বীজ-সার দিয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানালেন কৃষি বিভাগ।
ফরিদপুরে পর পর দু’দফার বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলাই বন্যাকবলিত হয়। পদ্মা নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, আলিয়াবাদ, চরমাধবদিয় ইউনিয়ন ও সদরপুর এবং চরভদ্রাসন উপজেলার চরাঞ্চলের নি¤œ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। দুদফার বন্যায় এসব এলাকার ১৩ হাজার ২৯৭ হেক্টোর ফসলী জমি তলিয়ে যায়। বন্যার পানিতে বোনা আমন ৩ হাজার ৪৭০ হেক্টোর, রোপা আমন ৭ হাজার ৪২৯ হেক্টোর, আমনের বীজ তলা ১১০ হেক্টোর, বিভিন্ন প্রকার সবজি ৪২৫ হেক্টোর, আউশ ধান ১ হাজার ৪১৭ হেক্টোর ও কলা ৯৬ হেক্টোর ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ায় কারণে প্রায় ১০৮কোটি ৫৭লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার সাড়ে ৫শ গ্রামে ৬৪ হাজার ৩২৫ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
চাষিরা জানায়, দু’দফার বন্যায় রোপা আমন, আউশ ধান, বোনা আমন ও বিভিন্ন প্রকার সবজিসহ বন্যার পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা পথে বসে গেছি। সরকারি সহযোগিতা না পেলে আমরা নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে পারব না। সরকার আমাদের সার-বীজ দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা আবার নতুন করে শুরু করতে পারব।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হজরত আলী বলেন, দু’দফার বন্যায় জেলার ১৩ হাজার ২৯৭ হেক্টোর ফসলী জমি তলিয়ে যায়। বন্যার পানিতে বোনা আমন, রোপা আমন, আমনের বীজতলা, বিভিন্ন প্রকার সবজিসহ ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ায় কারণে প্রায় ১০৮কোটি ৫৭লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার সাড়ে ৫শ গ্রামে ৬৪ হাজার ৩২৫ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের তালিকা করা হয়েছে। আর বন্যা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রর্যাপ্ত প্রনোদনা দেওয়া হবে। ফলে কৃষক উপকৃত হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।