লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউপির বিঞ্জপুর গ্রামের মুকছুদি বাড়ির রাজমেস্তুরী বখাটে চাচা আজাদ হোসেন প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মুন্নী ও ৪বছরের শিশু সন্তান আলিফা আক্তারকে নিয়ে পালিয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় ফাতেমা আক্তার মুন্নীর রিক্সাচালক পিতা আব্দুর রশিদ ১১আগষ্ট (সোমবার) রামগঞ্জ থানায় রাজমেস্তুরী চাচা আজাদ হোসেনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিঞ্জপুর গ্রামের মুকছুদী বাড়ির আঃ রশিদের মেয়ে ফাতেমা আক্তার মুন্নীর সাথে চাটখিল উপজেলার পরকোটের আলা উদ্দিনের সাথে পারিবারিক ভাবে ২০১৫ইং সনে বিয়ে হয়। এর পর মুন্নীর সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরই ফাকে প্রবাসীর স্ত্রী মুন্নী তার বাড়ির আজাদ হোসেন নামে এক বখাটে চাচার সাথে পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ফাতেমা আক্তার মুন্নীর মা সানু বেগম বলেন,আমার মেয়ে নাতীনকে সাথে নিয়ে ৬আগস্ট বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ ও চাটখিল ব্যাংক থেকে ৩লক্ষ টাকা তুলে আত্মীয় এর বাড়িতে যায়। ৭আগস্ট শুক্রবার সকালে ওই টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে আজাদ নিয়ে যায়। বখাটে আজাদ শাহরাস্তি উপজেলাতে হলেও আমাদের বাড়িতে শাহানাজ নামে এক মেয়ে বিয়ে করে ৮মাস যাবত ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করে। বিদেশে থাকায় জামাইয়ের পাঠানো টাকা,স্বর্নালংকার আত্মসাত করতে আজাদের লোভী স্ত্রী শাহনাজ এবং শ্বাশুড়ি পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়ে ও নাতীনকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বখাটে আজাদকে সহযোগীতা করেছে।
রামগঞ্জ থানার এএসআই মোঃ মামুন হোসেন জানান, অভিযোগের আলোকে পুলিশ চাচা আজাদ হোসেন ও প্রবাসীর স্ত্রী মুন্নীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।