মাছ, মুরগির বিষ্ঠা, পঁচা সবজি, ফল, হোটেলের যাবতীয় বর্জ্যসহ সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সড়ক ঘেঁষে। সেখান থেকে উৎক গন্ধ ছড়াচ্ছে চারদিকে। ফলে সড়কের পাশ দিয়ে পথচারী ও স্থানীয়দের হাঁটার সময় নাক ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে তড়িঘড়ি করে পারাপার করতে হচ্ছে।
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের হেমুতখালি নামক জায়গার চিত্র এটি। সড়কের পাশে রাখা এসব আবর্জনায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও স্থানীয়রা।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, আক্কেলপুরের জাফরপুর, তিলকপুর, ছাতিয়ানগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য যানবাহন চলাচল ও পথচারী এ সড়ক দিয়ে সান্তাহার পৌর শহরে চলাচল করছে। পৌর শহরে প্রবেশ পথে এ রকম চিত্র দেখে বিরক্ত সকলেই। মাস্ক পরা পথচারিরাও ময়লা-আবর্জনার গন্ধে নাক চেপে ওই স্থান অতিক্রম করছেন। কেউ কেউ আবার নিজের পরনের কাপড়ের একাংশ নাকে চেপে ধরছেন। তবে আবর্জনা অন্য স্থানে সড়িয়ে নিতে স্থানীয়রা দাবি জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।
পথচারী আমিনুল ইসলাম সুমন হোসন বলেন, এসব ময়লা-আবর্জনার গন্ধ বাতাসে ভেসে আসে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে কুকুর ও শেয়াল এসব আবর্জনা টেনে আনছে সড়কের ওপর। ফলে সেখানে চলাচল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। শুধু সুমনই নয় এমন অভিযোগ ছাতিয়ান গ্রামের আলাউদ্দীন সরকার, সান্তাহারের জনি, শ্যমপুরের কাপড় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও রজিবেরও।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, গন্ধ যেন না ছড়ায় সেজন্য আপতত ওই স্থানে মেশিন দিয়ে গর্ত করে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অল্প দিনের মধ্যেই জায়গা নির্ধারণ করে ড্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।