নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত কলেজ শিক্ষক গোলাম মাওলা সাদিক ওরফে সাবুর (৫২) লাশ পরিবারের কয়েক সদস্য নিয়ে দাফন করলো ডোমার থানা পুলিশের সদস্যরা। বুধবার রাতে উপজেলার চিলাহাটি বাজারে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। একই দিন সকাল সাতটার দিকে রংপুর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তিনি নীলফামারী মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, গোলাম মাওলা সাদিক গত ৪ আগস্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ আগস্ট করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসলে তাকে রংপুর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সকাল সাতটার দিকে সেখানে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। দুপুরে এ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ গ্রামের বাড়ি চিলাহাটিতে নিয়ে আসা হয়।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পর ওই এলাকায় কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ডোমার থানার অফিসার্স ইনাচর্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এলাকাবাসীকে সচেতনতামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, ডোমার থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করেন। পরিবারে কয়েকজন সদস্য জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নেয়।
ডোমার থানার কর্মকর্তা ইনাচর্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, করোনা আক্রান্ত মৃত কলেজ শিক্ষক সাবুর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার পর কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কগ্রস্থ এলাকাবাসীকে আমি বলি, এখানে আতঙ্কের কিছু নাই। যে ব্যক্তি করোনায় মারা গেছে তিনি শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। আমরা পুলিশ সদস্যরা তার দাফন ও জানাজা সম্পূন্ন করবো। আপনারা কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এ সময় মৃত ব্যক্তির পরিবারের কয়েকজন লোক এ কাজে অংশ নেয়।