কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নে একটি বাল্য বিয়ে পন্ড করেছেন উপজেলা প্রশাসন। গত বুধবার (১২ আগষ্ট) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পালিয়ে যায় বর-কনে ও বাড়ির লোকজন। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী’র মামত ভাই বড়।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর অভিভাকরা চালাকি করে ব্যাল্য বিয়ে দিতে কনেকে নিয়ে চলে আসেন কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর কনের মামার বাড়ী (বরের বাড়ীতে)। বরের বাড়িতে উভয়পক্ষ মিলেই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। খবর পেয়ে বিয়ে ছুটে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান। ম্যাজিষ্ট্রেট আসার খবর পেয়ে বর-কনেসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। বরের মা’কে উপস্থিত পেয়ে মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া যাবেনা মর্মে মুচলেকা নেন এবং বাল্যবিয়ে পন্ড করেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান বলেন; ভ্রাম্যমান আদালতের খবর পেয়ে বর-কনেকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরিবারের অন্যান্য লোকজনদের বোঝানো হয়েছে বাল্যবিয়ের অপরাধ সম্পর্কে। প্রাপ্তবয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে সতর্ক করা হয়েছে।