ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। উপজেলা আওয়ামী লীগের বাবার নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক, একজন ক্রীড়া সংগঠক এবং এক সময়ের জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়ার। ছাত্র জীবনে আন্ত স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবলে তার নেতৃতাধীন দল কালীগঞ্জ সরকারী ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয় চ্যম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এমপি আনার জনপ্রিয়তার দিক থেকে সবার কাছে একজন প্রিয় মানুষ। নিজের দলের কেউ অন্যায় করলে তিনি কোন ভাবেই ছাড় দিতে নারাজ থাকেন। অনেকে বলে থাকে এমপি আনার ঝিনাইদহ ৪ আসনের উন্নয়নের একজন ফেরিওয়ালা। আবার কেউ বলেন সাদা মনের মানুষ। অনেক সময় তিনি সাধারন পরিবহনে যাত্রী বেশে ঢাকায় আসা-যাওয়া করে থাকেন। ঢাকাতে মটর সাইকেলে বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করেন প্রয়োজনীয় কাজে।
তার হাত ধরেই কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজ ও ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ, শেখ রাসেল ষ্টেডিয়াম করেছেন, মোবারকগঞ্জ রেলষ্টেশনে একাধিক ট্রেন স্টপেজ করনের ব্যবস্থা করেছেন। হয়। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে নিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। স্থানীয় পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচন দিয়ে ভোটের রাজনীতি শুরু করেন। এর আগে বিশাল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করেন। এত বেশি ব্যবধানে এর আগে কখনো কেউ জয়ী হয়নি। জাতীয় নির্বাচন গুলোতেও তিনি জয়ের ব্যবধান দিয়ে একই জনপ্রিয়তায় স্বাক্ষর রাখেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা কালে কালীগঞ্জে ব্যাপক সুনাম আর্জন করতে সক্ষম হন। বাড়তে থাকে আনারের জনপ্রিয়তা। প্রতিটি মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয় একজন মানুষ হয়ে পড়েন। ক বছর আগে গ্রাম এলাকায় অনেকে আনার কে একনজর দেখার জন্য ভিড় করতো। এলাকায় ব্যাপক ভাবে রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির,গীর্জাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
চলতি বছরের শুরুতে করোনার মহাসংকটে অনেক জনপ্রতিনিধিরা যখন ঘরবন্ধি, তখন আনোয়ারুল আজিম আনার রাতদিন গ্রাম থেকে গ্রামের ত্রাণ নিয়ে নিরন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিয়েছেন। এখনো চলছে তার ত্রাণ বিতরণের কাজ। করোনা কালে তার নিজস্ব একটি মোবাইল নাম্বার বিতরণ করেন। যে নম্বরে যে কেউ ফোন করলেই তার বাড়িতে খাবার পৌছে দেন। এ ছাড়া নিয়ম করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে নিয়মিত তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের নানা ধরনের কথা শুনেন। পরামর্শ ও উপকারের জন্য তার কাছে আসতে বলেন। ছাত্র জীবনে তিনি বিভিন্ন সামাজি কাজের সাথে জড়িত থেকে নানা ধরনের কাজ করতেন। লেখাপড়া পাশাপাশি সামাজিক কাজ ক্রীড়ার সাথে জড়িত ছিলেন।
সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেটিজেনরা এই তরুণ সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারকে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে ঝড় তুলেছে। তারা তার নানা উন্নয়ন কাজের ফিরিস্থি তুলে ধরে পোষ্ট দিচ্ছে। রীতি মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মন্ত্রিত্ব চেয়ে ঝড় তুলেছে নির্বাচনী এলাকার দল মত নির্বিশেষে বিভিন্ন সংগঠন পোশাজীবী মানুষ। পিছিয়ে নেই ছাত্র শিক্ষকসহ সাধারন মানুষও। তাদের দাবি ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের এ তরুণ এমপিকে দেশরত্ন শেখ হাছিনার নেতৃতাধীন মন্ত্রীসভায় দেখতে চাই। এটাও ঠিক বিভিন্ন সভা সমাবেশে সাধারন মানুষ অনেককিছু দাবি ও আবদার করেন, তিনি যেটা প্রতিশ্রতি দেন সেটা বাস্তবায়ন করেন।
এছাড়াও আরো কিছু বিশেষ বৈশিষ্টের জন্য এমপি আনার এলাকার ভোটারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একজন নেতা। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার এলাকায় কখনো তাকে পুলিশি পটোকল ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তিনি নিজেই মোটর সাইকেল চালিয়ে দিন অথবা রাত যখন প্রয়োজন তখনই নির্বাচনী এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের যে কোন গ্রামে পৌছে যান। কেউ ফোন করলেই দিন-রাত যে কোন সময় তিনি তার বাড়িতে পৌঁছে যান। এ ছাড়া তিনি কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামের পর গ্রাম চষে বেড়ান। তার নির্বাচিত এলাকার যে কোন গ্রামের মৃত্যু সংবাদ পেলেই ছুটে যান তার বাড়িতে। তাদের সাথে কথা বলেন। শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। একই দিনে ১০ জন মৃত্যু ব্যক্তির জানাযায় অংশগ্রহণ করারও রেকর্ড রয়েছে তার। এ পর্যন্ত তরুণ এই সাংসদ ১৫ হাজার মৃত্যু মানুষের দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
কাদাপথে লাশবাহি অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে জনগণের সেবক পরিচয় দিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তার নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ভিটেখোলা গ্রামে রফিকুল ইসলাম মালোয়েশিয়াতে ডেঙ্গু জ্বরে মারা যায়। বিমান যোগে তার মৃতদেহ ঢাকায় আনা হয়। সেখান থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স করে মৃত রফিকুলকে গ্রামে নিয়ে আসে। গ্রামের পাকা রাস্তার মোড়ে এলে বৃষ্টিতে ভেজা কাদার রাস্তা দেখে চালক যেতে অসিকার করে। এ সময় সেখানে উপস্থিত সাংসদ আনার নিজেই জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্দমাক্ত দেড় কিলোমিটার পথে গাড়ি চালিয়ে মৃতদেহ বাড়ি পৌছে দেয়। এর আগে কালীগঞ্জে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের নিয়ে নিজে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে পৌছে দিয়ে আলোচনায় আসেন।
মালিয়াট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক সংগ্রাম বলেন, ভিটেখোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম মালোয়েশিতে থাকতো। সেখানে ডেঙ্গু জ্বরে মারা যায় রফিকুল। সেখান থেকে বিমান যোগে তার মৃতদেহ দেশে আনা হয়। এরপর এদিন দুপুরে মালিকানাধিন একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু গ্রামে আসার পর তার বাড়ি যেতে প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। যেটা গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভিজে এমন হয়েছে। ফলে অ্যাম্বুলেন্স চালক ঝুকিপূর্ণ এই রাস্তায় যেতে অস্বীকার করে। এ সময় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার দুই ব্যক্তির জানাযার নামাজ শেষে আরো একটি জানাজার উদ্দেশ্যে ওই পথে যাচ্ছিলেন। সংসদ আনার ঘটনার জানার পর নিজেই অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে রফিকুলের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ঝিনাইদহ ৪ আসনের মানুষদের দলমত নির্বিশেষে উপকার করে থাকে। কে কোন দল করলো তিনি তা দেখেন না, মানুষকে কিভাবে উপকার করা যায় ও জনগনের কিভাবে কাজ করে দেওয়া যায় তিনি সে দিকে সর্ব সময় কাজ করে থাকেন। প্রতিনি সকালে বাসা থেকে বের হন আর রাত ১২ টা ১ টার দিকে বাসায় ফিরে আসেন। কোন সময় পুলিশ প্রটেকশন লাগে না। একাই মটর সাইকেল চালিয়ে গ্রাম এলাকায় চোসে বেড়ায়। এ সবের কারণে প্রতিটি মানুষের কাছে তিনি অতি জনপ্রিয় একজন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার জানান, জনগন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি এখন জনগণের কাছে দ্বায়বদ্ধ, আমি এখন তাদের সেবক। দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি করোনাকালে জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি, এখনো আছি। আমার নেত্রী চাইলে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য জীবন দিয়ে হলেও সেবার কাজ করে যেতে চাই, বলছিলেন তরুণ এই সংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার।