বাংলাদেশ পুলিশের তিনজন কর্মকর্তার তদারকি ও কঠোর নজরদারিতে স্বস্তি ফিরেছে দেশের গুরুত্বপূর্ন নৌরুট দৌলতদিয়া পাটুরিয়ার দৌলতদিয়া ঘাটে। কমেছে দালালের উৎপাত। বন্ধ হয়েছে চাদাবাজি। এছাড়াও একটি নির্ভেজাল ও ভোগান্তিমুক্ত ঈদযাত্রা পেয়েছে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। যে কারণে পুলিশ প্রশাসনের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই নৌরুট দিয়ে চলাচলকারী হাজারো চালক ও যাত্রীরা।
ঘাট সংশ্লিষ্টরাজানান, বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান পিপিএম ( বার ) বিপিএম ( বার ) রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান পিপিএম এর তদারকির কারণে স্বস্তি ফিরেছে ঘাটে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান পিপিএম বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের আইজি স্যার, ডিআইজি স্যারের নির্দেশে মানবিক পুলিশিং কার্যক্রম করছি। আমাদের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্যার যৌনপল্লীর বাসিন্দা ও তাদের শিশুদের নিয়ে যে কাজ শুরু করেছেন তা নির্দিধায় একটি মহৎ কাজ। আমরা স্যারের এই মহৎ কাজকে স্যালুট জানাই। তাছারা নৌপথে পারাপারেও আমাদের আছে বিশেষ নজরদারি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম বলেন, ঘাটে মানুষের ভোগান্তি কমাতে আমরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করেছি। দালালের উৎপাত নেই বললেই চলে। আমরা ঘাট এলাকায় অপরাধ দমনে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি যার ফসল আমরা পাচ্ছি। ঘাটে আর কোন অপরাধ চক্র মাথা চারা দিয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে আমরাদের গোয়েন্দা টিম সব সময় নজর রাখছে।
এদিকে দেশের গুরুত্বপূর্ন নৌরুট রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পাটুরিয়ায় ভোগান্তি ছাড়া পারাপার ও যাত্রী ও চালকদের হয়রানি সর্ম্পর্কে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটের দালাল দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান আমাকে একটি নির্ভেজাল ঘাট উপহার দিবে বলে আশ্বস্ত করেছে। এবং তারা সেই লক্ষ্যে কাজও করছে। তার প্রমান হিসেবে আপনারা ঈদে পারাপার দেখেছেন।