সরাইলে মো. সোহেল মিয়া (১৪) নামের এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোহেল পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। গত বৃহস্পতিবার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকা (পর্যটন এলাকা খ্যাত) থেকে পুলিশ ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে। স্থানীয়রা ডাকাতের হামলায় সোহেলের মৃত্যুর ধারণা করলেও পুলিশ বলছে সড়ক দূর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। তাই কিশোর সোহেলের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্র জানায়, উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দত্তপাড়ার মন মিয়ার ছেলে সোহেল। পেশায় অটোরিকশা চালক। বন্যার পানি থাকায় ধর্মতীর্থ এলাকায় এখন প্রতিদিনই বিকেল ৩টার পর থেকে দর্শণার্থীরা জড়ো হতে হয়। অবস্থান করে সন্ধ্যা পর্যন্ত। অনেকে খোলা জায়গার বাতাস উপভোগ করার জন্য রাত সাড়ে ৭টা বা ৮টা পর্যন্ত অবস্থান করেন সেখানে। কেউ কেউ সন্ধ্যার পরও সেখানে যান। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে ধর্মতীর্থ এলাকায় গিয়েছিল সোহেল। সাড়ে ৭টার দিকে ধর্মতীর্থ এলাকার ব্রীজ ও ভূঁইয়ার ঘাট সংলগ্ন ব্রীজের মাঝামাঝি স্থানে সড়কের পশ্চিম পাশের ঢালে পানির খুব কাছে কিশোরের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। তখন সোহেলের অটোরিকশাটি অক্ষত অবস্থায় সড়কের পাশেই ছিল। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের দুদিকে বিশাল আকৃতির ঝোঁপঝাঁড়। ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতরা ডাকাতি শেষে অটোরিকশাটি নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে অথবা চালক ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলেছে। ফলে তাকে মারধর করে হত্যা করে টেনে নিয়ে ফেলে গেছে। দূর্ঘটনা হলে তো অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যেত। লাশও সড়কের উপর পড়ে থাকত। সরাইল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) এ এম এম নাজমুল আহমেদ সোহেলের লাশটি পানির কাছাকাছি পড়ে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, সময় পারিপার্শ্বিকতা ও চাকরীর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এটি একটি দূর্ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে নাসিরনগর থেকে দুটি গাড়ি এক সমানে সরাইলের দিকে আসতে গিয়ে দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে অটোরিকশার চালক সোহেল ছিটকে গিয়ে সড়কের পাশে পড়ে। মাথায় গুরূতর আঘাত পাওয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ডান হাতের বিভিন্ন জায়গার চামড়া ওঠে গেছে। সেখানে লোক সমাগমও কম। চাক্ষুস কোন সাক্ষীও নেই। তারপর ময়না তদন্তের পর আরো কিছু জানা যাবে। তদন্ত চলছে।