দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিয়ের প্রলোভনে মৌসুমী আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিন দেবীপুর (সাউদগাড়ী) গ্রামে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিন দেবীপুর (সাউদগাড়ী) গ্রামের হামেদ আলীর মেয়ে উপজেলার জয়রামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী মৌসুমী আক্তার এর সাথে একই গ্রামের মোবারক হোসেনের পুত্র সুমন মিয়া (২২) প্রায় দেড় বছর থেকে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইতোমধ্যে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে দৈহিক অবৈধ মেলামিশা করে। গত ১১ আগস্ট বেলা অনুমান ১২টার দিকে বিবাহের কথা বলে ধর্ষক সুমন মিয়া মৌসুমীকে ডেকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। বাড়ীতে লোকজন না থাকায় মৌসুমীকে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে, ধর্ষক সুমনকে তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং মৌসুমীকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। ঘটনার পর বিষয়টি ফোনে ঘোড়াঘাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আমিরুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষনিক থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এ ব্যাপারে ৪ জনকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করা হয়।থানা পুলিশ ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে।