জেএসএস ও ইউপিডিএফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্ত্রধারী পাহাড়ি সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এ সময় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির নেতৃত্বদানকারী আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে অপসারণের দাবিও জানানো হয়।
রোববার (১৬ আগষ্ট) সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে গৃহবধু মুর্শেদা বেগমকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ঘন্টব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এই দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহা সচিব আলমগীর কবির। এ সময় কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, জেলার নেতা নাদিরুজ্জামান, কাজী মোঃ জালোয়া, হাবীব আজম, মহিলা পরিষদ নেতা মোর্শেদা আক্তার বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারীরা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এইসব অস্ত্রাধারীদের দমন করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালাতে হবে এবং পার্বত্য এলাকায় যেসব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে তা আবারো পূর্ণবহাল করতে হবে। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।