নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে আশা এনজিও’র দুই কর্মী গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রোববার দুপুর দেড় টার দিকে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চাকধা পাড়া এলাকার এ ঘটনা ঘটেছে।
গুরুত্বর আহতরা হলেন, ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ওফুর আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও সৈয়দপুর উপজেলার নেছার উদ্দিনের ছেলে আবদুল আলীম (৩৩)। তারা তুই জনেই আশা এনজিও’র মাঠকর্মী। তারা কিস্তির টাকা তুললে ওই এলাকায় গিয়েছিল।
এলাকাবাসী জানায়, দুপুরে কিস্তির টাকা তুলতে চাকধাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের বাড়িতে যায় আশা এনজিও’র মাঠকর্মী সিরাজুল ও আলীম। বৃষ্টি হওয়ার কারণে তারা দুইজনে আফজালের একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। এ সময় পাশের বাড়ির মাদকসেবী মোস্তাকিম (৩২) একটি ছুরি নিয়ে ওই ঘরের ভিতরে ঢুকে ভিতর দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। তাদের চিৎকারে ঘরের বাইরে কয়েকজন মহিলা দরজা ঝাকানো শুরু করে। এ সময় মোস্তাকিম দরজা খুলে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে ছুরি ঘোড়াতে থাকে। কেউ আমনে আসলে খুন করে ফেলার হুমকি দিয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় মোস্তাকিম। চিৎকারে উপস্থিত আশ্বপাশের লোকজন দেখতে পায়, ঘরের ভিতরে একজনের মাথা হতে ও একজনের হাত থেকে প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে। সাথে সাথে তাদের ডোমার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। তাদের দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হলে স্বাস্থ কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ সময় এনজিও’র অন্যান্য কর্মীরা তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
ডোমার স্বাস্থ কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎক ডা. মোঃ তানভির জোহা জানান, একজনের মাথায় ও একজনের হাতে গভীর ছুরির আঘাত ছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে রেফার্ড করেছি।
আশা এনজিও’র সোনারায় ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার কিছুক্ষন আগে সেখান থেকে কিস্তির আদায়কৃত টাকা নিয়ে আমি অফিসে আসি। তারপর ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার দুই মাঠকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করেছে সদ্য মাদক মামলার জেল ফেরত আসামি মোস্তাকিম। কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এখনো কোন মামলা দায়ের হয় নাই।