রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হুসাইন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করে। এরপরেই যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নজরদারিতে থাকা কেন্দ্রের ৭ কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাইবান্ধা সদর উপজেলার চৌদ্দকুড়িসিং বানপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান তুহিন, নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড়মল্লিক গ্রামের হুমাইদ হোসেন, পাবনা বেড়া উপজেলার সন্যাসপাড়া গ্রামের ইমরান হোসেন, রাজশাহীর মতিহার উপজেলার কাজলা গ্রামের শিমুল, পাবনা বেড়া উপজেলার সন্যাসপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চাপুভেলা গ্রামের রিফাত আহমেদ, নাটোর সদর উপজেলার তালারদিয়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলী।
উল্লেখ্য, তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় নিহত পারভেজের বাবা রোকা মিয়া শুক্রবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তে কেন্দ্রে বন্দিদের মারপিট ও হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়। তার মধ্যে শনিবার কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ ৫ জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছিল। আজ বাকি ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ আগস্ট দুপুর থেকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৮ বন্দির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এতে তিন বন্দি কিশোর নিহত হয়। এ ছাড়া আহত ১৫ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।