গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার বেলনা গ্রামের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, ইসলামি আদর্শের পক্ষে আমরণ এক নিরন্তর দায়ী' মুহতারাম মাওলানা সুলতান উদ্দিন নূরী (৮১) বার্ধক্যজনিত কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সোমবার সকাল সাড়ে পাঁচটায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাদ আছর বেলনা হাফেজিয়া মাদরাসা ময়দানে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র, ৪ কন্যা, নাতি-নাতনী ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের শুভাকাঙ্খি ও বড়গাঁও বাইতুল উলুম আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ্ তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে জানান, মাওলানা সুলতান নূরী সাহেব কালিগঞ্জ-কাপাসিয়াসহ বিস্তীর্ন এলাকায় বিশেষ করে ওয়াজ মাহফিলে সুমিষ্ট ভাষায় ইসলামের দাওয়াতী কাজ করে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন। মরহুমের এক পুত্র গাজীপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মরহুম আ ন ম নাজাতুল্লাহ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বড়গাঁও বাইতুল উলুম আলিম মাদরাসায় সুযোগ্য শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মরহুমের আরেক পুত্র মরহুম মাওলানা রুহুল আমিন চুপাইর জামিউল উলুম আলিম মাদরাসার সিনিয়র মাওলানা হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা সবাই তাদের পিতা মাওলানা সুলতান নূরীর মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ ও আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। কাপাসিয়ার কামড়া মাশক গ্রামের মরহুম হাফেজ মাওলানা ফায়জুল্লাহর সাথে মরহুম মাওলানা সুলতান নূরী সাহেবের ছিলো গভীর এক আত্মিক সম্পর্ক। সেই সুবাদে এই এলাকার বহু ইসলামি মাহ্ফিলে দাওয়াতী মেহমান হিসাবে ওয়াজ নছিহত করেছেন।
মুহতারাম মুরুব্বির মৃত্যুতে এ অঞ্চলের ইসলামি আন্দোলনের সদস্য ও শুভাকাঙ্খিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা' মরহুমের পরিবারের সবাইকে ছবরে জামিল ইখতিয়ারের তাওফিক দান করুন। তাঁর মানবীয় সীমাবদ্ধতা জনিত সব ভুল ক্ষমা করে দিয়ে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের অধিবাসী বানিয়ে নিন।