বগুড়ার শেরপুর শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাইব্রীড নেতা সবুজ বাহিনীর মারপিটে হাত-পা ভাঙ্গা পড়ে আওয়ামী লীগ কর্মীর আবদুল হালিম(২৬)। ওই আওয়ামীলীগকর্মী গত ১৪ আগস্ট বিকালে স্বেচ্চাসেবকলীগ নেতার মারপিটের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়। গত ৩দিন ধরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে অবস্থায় মারা গেছে। মৃত আবদুল হালিম উপজেলার গাড়িদহ মধ্যপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নে কোয়ালিটি ফিড কোম্পানি এলাকায় গাড়িদহ মধ্যপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সবুজের নেতৃত্বে একই ইউনিয়নের রহমান নগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মুহায়মিনু, বাংড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কাওছার ও গাড়িদহ মধ্যপাড়া গ্রামের মকবর আলীর ছেলে শাহিনসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে কোয়ালিটি ফিড ও গাড়িদহ সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। একপর্যায়ে একই এলাকার হাফিজার রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল হালিম তাদেরকে চাঁদা তুলতে নিষেধ করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে কোয়ালিটি ফিড কেম্পিানীর পাশে জামুন্না স্যানাপাড়া এলাকায় ওই আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল হালিমকে একা পেয়ে ওই শেরপুর শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজের নেতৃত্বে বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। এতে হালিমের ডান হাতের ৫টি আঙুল কেটে ও ডান পা ভেংগে ফেলে গাড়িদহ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা আহত হালিমকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। গত ৩দিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ওই আওয়ামী লীগ কর্মী মারা যায়।
শেরপুর শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ বিগত ৩ বছর আগে ছাত্রদল থেকে অনুপ্রবেশ করে এলাকায় বিভিন্ন শিবিরকর্মীদের নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তবে ওই সবুজ ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়ে কিভাবে শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগে সাংগঠনিক সম্পাদকে স্থান পায়। তাছাড়া ওইসব অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সচেতনমহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তবে এলাকাটি শেরপুর থানার অর্ন্তভূক্ত নয় বলে তিনি দাবী করেন।
এ প্রসঙ্গে শাহজাহানপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আজিম উদ্দীন বলেন, বিষয়টি জানা নাই, তবে অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।