১৭ ই আগস্ট সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা নুর আলম প্রধান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,গত ১১ আগস্ট গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি/সম্পাদক কর্তৃক গোবিন্দগঞ্জ ছাত্রদলের যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করছে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা।
তারা অভিযোগ করেন, দলের ত্যাগী, পরিক্ষিত ও নিয়মিত ছাত্রনেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি সিন্ডিকেটের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় বিএনপি সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মতামতকে অবজ্ঞা করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ছাত্রদলের কর্মকান্ডকে দূর্বল করার জন্য এই কমিটি ঘোষনা করেছে জেলা ছাত্রদল।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, কোন মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা, ছিনতাইকারী ছাত্রদলের সদস্য হতে পারবে না। কিন্তু ওই ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক নিজেই একজন মাদক সেবনকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী, (বিবাহিত ও তালাকপ্রাপ্ত), সদস্য সচিব ফেন্সিডিল মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হয়ে জেল খেটেছে। যাহার মামলা নং-এসটি,৮৭/১৭ গাইবান্ধা সদর থানা।
এ ছাড়াও তিনি একজন দলিল লেখক, ঘোষিত কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক গোবিন্দ কুমার নিজেও মাদক সেবনকারী ও একটি দোকানের কর্মচারী, যুগ্ন আহ্বায়ক ফেরদৌস আলম প্রশ্নফাঁস চক্রের মুলহোতা এবং জেল খাটা আসামী। এদের সাথে সাধারণ ছাত্রদলের নেতাকর্মিদের কোন সম্পর্ক নেই। ওই কমিটিতে ৪/৫ জন আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মিকে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হতে হলে ইউনিয়ন কিংবা ওয়ার্ডের সদস্য হতে হবে। কিন্তু ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দু’জনেই পৌর বাসিন্দা। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে ত্যাগী পরিক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে মাদক সেবনকারীদের দিয়ে যে পকেট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করেছে। সেই কমিটি গোবিন্দগঞ্জ তৃনমূল ছাত্রদল প্রত্যাখান করেছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি/সম্পাদকের আশুদৃষ্টি কামনা করছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, থানা ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহব্বায়ক,আমিনুল ইসলাম আপেল, সদস্য - বেলাল উদ্দিন জিবন, নেওয়াজ মোহাম্মদ তারেক, তানজিমুল হাসান, মেহেদী হাসান, আরো উপস্থিত ছিলেন, আবদুল মজিদ, আতিকুর রহমান রতন,মেহেদী হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুস সাকিব,আশিক প্রধান সজীব, শাহনুর ইসলাম সাদ্দাম, ,প্রিন্স মাহমুদ, ফারুক আহম্মেদ, মওদুূদ আহম্মেদ, বায়জিদ প্রধান ফুয়াদ,জোবায়ের রহমান, ফয়সাল আহম্মেদ, সায়িদ প্রধান,জুলফিকার ইসলাম, আহসানুল হক মিলন,সায়েম সরকার,আরিফ আকন্দ বাবুল ,অনিক,কলেজ ছাএদলের সদস্য সচিব, জাহিদ প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ মন্ডল,রানা মিয়াসহ থানা পৌর কলেজ শাখার তিন শতাধিক নেতাকমি।