জুরাছড়ি উপজেলায় দুমদুম্যা ইউনিয়নে করোনায় সৃষ্ট্য খাদ্য সংকট মোকাবেলাই এবার এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি খাদ্য সামগ্রী, স্বাস্থ্য উপকরন, শাক-সবজির বীজ এবং সচেতনতা মূলক পোষ্টার পৌছে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘‘ ষ্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি” প্রকল্পের আওয়াতায় এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে বগাখালী এলাকায় এসব বিতরন করা হয়।
সপ্তাহ ধরে নৌ পথে রোদ-বৃষ্টি অতিক্রান্ত করে গেল ১৪ ও ১৫ আগস্ট দুমদুম্যা ইউনিয়নের বগাখালী বাজারেচার ওয়ার্ডের ২৫৪ জন পরিবারে মাঝে এসব সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য সাপ নেম পাংখোর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধান কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সিসিআরপি প্রকল্পের কমিউনিটি অর্গানাইজার সুমন্ত চাকমা, এফএফএসের উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর বাবুল চাকমা, এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপির ভলেন্টিয়ার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের গন্ডাছড়ার প্রিজোয়ান, এলম পাংখোয়া, রাগন চান তংঞ্চঙ্গ্যা জানান জুমে ধান উঠতে আরো এক-দেড় মাস সময় লাগবে। করোনায় সংকটে কখনো জংগলের আলো, আবার কখনো জংগলের সবজি খেয়ে কোন মতে বেচেঁ আছি। বাচ্চারা বার বার ভাত খুজে-তখন খুবই অসহায় হয়ে পরি। এই সহায়তা পেয়ে আমার অনেক খুশি। ছেলে-মেয়ে মিলে দু-এক বেলা পেটভরে খেতে পারবো। অনেকে খুশিতে কেঁদে পেলে। তারা সংকট মোকাবেলায় আরো সহযোগীতার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, প্রান্তিক দুমদুম্যাবাসীদের খাদ্য সংকট মোকাবেলাই সরকার ও উন্নয়ন সংস্থা এগিয়ে আসাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে সব চেয়ে দুর্গম হচ্ছে দুমদুম্যা। তার মধ্যে ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আরো দুর্গম। এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি খাদ্য সামগ্রী, স্বাস্থ্য উপকরন, শাক-সবজির বীজ এবং সচেতনতা মূলক পোষ্টার যাথাযথ পৌছে দিতে পেরে এলাকায় অনেক সহায়ক হয়েছে।
উল্লেখ্যে এই প্রকল্পের আওয়াতায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।