যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়ায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যশোর সিভিল সার্জনের নের্তৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এ অভিযানে তিনটি ক্লিনিকের প্যাথলজিসহ ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়। নতুন লাইসেন্স ও নবায়ন করার জন্য আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়।
অভিযানের ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুর রহমান রিজভী জানান, উপজেলার নওয়াপাড়া শহরে অবস্থিত ছয়টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে। এরমধ্যে সার্জিক্যাল ক্লিনিক, ফাতেমা ক্লিনিক, আল-মদিনা ক্লিনিক ও আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালের প্যাথলজি বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এসব ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী না থাকায় তাদের প্যাথলজি বন্ধ করা হয়।
ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ফয়সাল ডায়াগনস্টিক ও ল্যাবওয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া পালস্ ডায়াগনস্টিক, লাইফ কেয়ার, পপুলার ও নওয়াপাড়া ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী না থাকায় পরীক্ষা-নিরিক্ষার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়।
অভিযান টিমের প্রধান যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, নওয়াপাড়ায় বেসরকারি ক্লিনিকগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করে ক্লিনিক্যাল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এলবি হাসপাতাল ও আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতাল ছাড়া কোন ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী পাওয়া যায়নি, নেই পোস্ট অপারেটিভ রুম। এক্স-রে মেশিন চালানোর জন্য পাওয়া যায়নি পরমানু শক্তি কমিশনের অনুমোদিত সনদ। নেই পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ছাড়পত্র। প্রতিটি ক্লিনিকে বেডের সংখ্যা রয়েছে আবেদনের থেকে বেশি। পাওয়া যায়নি ডিপ্লোমা পাশ নার্স ও সার্বক্ষনিক দায়িত্বে থাকা এমবিবিএস ডাক্তার।
তিনি আরও জানান, এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মানুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যথায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, যশোর মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ আলী, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ ফয়সাল পাভেল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।