শ্রীনগরে স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধাঁ দেয়ায় স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ছ্যাঁকা দিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। গত ১২ আগস্ট গভীর রাতে উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের নতুন বাজার সিকদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। দরিদ্র রিক্সা চালক রাজ্জাক হাওলাদারের মেয়ে ভূক্তভোগী অসহায় শারমীন আক্তার(২১) জানায়, ২ বছর পূর্বে মোতা মাদবরের ছেলে ফারুক মাদবর (২৫) এর সাথে তার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তিনি জানতে পারেন, বাড়ির পাশে বসবাসরত স্বামীর আপন মামাত বোন লাবলী আক্তারে সাথে তার পরকিয়া ও অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আর এ বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বাঁধে। পরকিয়া নিয়ে কয়েকদিন আগে স্বামীর মারধরের স্বীকার হয়ে শারমীন রাগ করে দোহার থানার মৌরা খালা বাড়িতে চলে যান। ঘটনার দিন সকালে তার স্বামী ফারুক খালার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। রান্না ও খাওয়া শেষে রাতে স্বামী স্ত্রী দুজনেই শুয়ে পরি। হঠাৎ রাত প্রায় সারে ১২ টার দিকে স্বামী ফারুকসহ তার মামাত ভাই সজিব(২০), মামাত বোন লাভলী আক্তার(২৩) ও অপরিচিত এক মহিলা খাটের সাথে শারমীনের হাত পা বেঁধে ফেলেন। পরে গ্যাসের চুলায় লোহার খুন্তি গরম করে তার গোপনাঙ্গে ছ্যাকাঁ দেয়। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে জানতে পারেন কে বা কারা তাকে অচেন অবস্থায় দোহারে থানার মৌরায় একটি রাস্তায় ফেলে রেখে গেলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে পলাতক ফারুক মাদবরের মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একই বিষয় সজিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চার দিন ঢাকায় ছিলাম। শুনেছি আমার মামাতো ভাই ফারুক ও তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়েছে। এ ব্যপারে গৃহবধুর পিতা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওসি অপারেশন কামরুজ্জান তদন্ত করেছে। স্বামী ফারুক পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।