বরিশালের উজিরপুরে একটি ক্লিনিকে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারের বিরুদ্ধে এক রোগীকে শ্লীনতাহানীর অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে উজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা পরে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার রেজাউল করিমেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতকে বরিশাল আদলতে প্রেরন করা হলে আদালতের নিরদের্শে বরিশাল কারাগারে গ্রেরণ করা হয়েছে বরে জানাগেছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সাতলা গ্রামের মায়ের দোয়া ক্লিনিকে গত ১১ আগস্ট দুপুরে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সুতারকান্দী গ্রামের আবদুর রহিম বেপারীর স্ত্রী মায়া বেগম (৪০) অসুস্থ হয়ে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক রেজাউল করিমের অধিনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। রোগীর সাথে থাকে তার ২২ বছরের এক বোন। রোগীর বোনকে দেখে তার উপর নজর পরে ডাক্তার রেজাউল করিমের। তাকে (মেয়েটিকে) বিভিন্ন সময় উত্যক্তসহ অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রেজাউল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৫ আগস্ট গভীর রাতে অন্ধকারের মধ্যে ক্লিনিকের ওয়ার্ডে ঢুকে ঘুমন্ত রোগীর বোনের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় সে চিকিৎকার দিলে রেজাউল করিম ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী বৃহস্পতিবার সকালে উজিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন, যার নং-২৫(২০-৮-২০২০)। ওই মামলার আসামি রেজাউল করিমকে বৃহস্পতিবার সকালে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মাহাবুব গ্রেফতার করে বিকেলে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি)মো.জিয়াউল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, রেজাউল করিমের নামে প্রায় অর্ধশত অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। সকল অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতির ঘটনায় থানায় মামলা করে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তকে রেজাউল একজন ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার।