২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুসা মাতব্বর, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিক তালুকদারসহ জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের অজ্ঞ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ২১ আগস্ট শুধু একটি রাজনৈতিক বিষয় নয়। ২১ আগস্ট বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলংকিত কালো অধ্যায়। যে কলংকিত অধ্যায় শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর কারাগারে চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে। এর পরও ঘাতকচক্ররা থেমে থাকেনি। তারা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের ববর্রতম গ্রেনেড হামলা চালায়। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আল্লাহর রহমত ও বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি। তিনি এখনো মানুষের কল্যাণে দেশের অগ্রযাত্রাকে প্রসারিত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তাই ২১ শে আগষ্টের এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে দেশের সকল নাগরিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ২১ শে আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং যারা আহত হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান নেতৃবৃন্দরা।