বগুড়ার আদমদীঘিতে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে নিজ বাড়ীর ভিতরে গর্ত খুঁড়ে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টার মামলার আসামি নির্যাতিত গৃহবধূর শ্বশুড় সিরাজুল ইসলাম গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় বাড়ীর অদুরে খাড়ি (খালের) পার্শ্বে গাছের সাথে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো মৃত অবস্থায় লোকজন দেখতে পেয়ে আদমদীঘি থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃত সিরাজুলের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আদমদীঘি উপজেলা সদরের পাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাইম হোসেন এর সাথে নওগাঁ জেলার এনায়েতপুর এলাকার শহিদুল কাজীর মেয়ে ফাল্গুনী খাতুনের গত প্রায় ৫/৬ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। সংসার জীবন চলাকালে প্রায় নাঈম হোসেন তার শ্বশুড় পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক দাবী করে আসছে। গত ১২আগষ্ট আবারও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে তার স্ত্রীকে হাত পা বেঁধে মারপিট করে শয়ন ঘরের মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধুর বাবা শহিদুল কাজী বাদী হয়ে জামাই নাঈম হোসেন এবং তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ও মা রেহেনা খাতুনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নাঈন ও তার মা রেহেনাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠায়। এদিকে ওই মামলার আসামি নির্যাতিত গৃহবধূর শ্বশুড় সিরাজুল ইসলাম পলাতক থাকার পর শুক্রবার গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।