বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে হামলায় ছাত্রলীগ ও তাতী লীগের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (২১ আগষ্ট) রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম বেরাগাড়ী এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন নন্দীগ্রাম পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান (২৬), উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারন সম্পাদক তারেক মাহমুদ ডিউ (২৮), ছাত্রলীগ নেতা আবু তৌহিদ রাজিব (২৪), সোহানুর রহমান (১৮), আল জাহিদ (২৩)। তাদেরকে বগুড়া জিয়াউর রহমান কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সোহানুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কর্মসূচি শেষে ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান ও আল-জাহিদ মোটর সাইকেল যোগে তানভীর আহম্মেদ তমালকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যায়। পথিমধ্যে কাথম বেরাগাড়ী এলাকায় পৌঁছিলে তাদের পথরোধ করে ইউপি সদস্য ও কুখ্যাত ডাকাত বুলু মিয়াসহ তার লোকজন কুপিয়ে ও মারধর শুরু করে। সংবাদ পেয়ে তাঁতী লীগের সাধারন সম্পাদক তারেক মাহমুদ ডিউ, ছাত্রলীগ নেতা আবু তৌহিদ রাজিব, সোহানুর রহমান তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কর্মসূচি শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা মটর সাইকেল যোগে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কাথম বেরাগাড়ী এলাকায় সন্ত্রাসীরা পথরোধ করে লোহার রড, রাম দা ও হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ৫ জনকে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তারা।
নন্দীগ্রাম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবীর বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।