চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের কাঞ্চননগর রেল ষ্টেশন সড়কটি এখন বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে। মনে হচ্ছে এটি কোন সড়ক নয় যেন আবাদি জমি। কাদা মাটি আর কাদা মাটি। পথচারীদের চলাচলের কোন সু-ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফলে সাধারন মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি শেষ নেই। অথচ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাদামতল হতে সংযুক্ত প্রায় ৩/৪কিমি: রেল ষ্টেশন সড়কটি একটি বাণিজ্যিক সড়ক বলেই চলে। উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ও জোয়ারা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে যাওয়া কাঞ্চননগর রেল ষ্টেশন সড়কটি স্থানাীয় বাসিন্দাদের জন্য খুবই গুরুত্বপর্ণ। প্রতিদিন কাজী পাড়া,ছোট ঠাকুর পাড়া,কাঞ্চননগর আবাসিক প্রকল্প,পূর্ব এলাহাবাদ নতুন পাড়া,অংশ পাড়া ও বহরম পাড়ার প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচল এ সড়কটি। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্্েযাগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ ছাড়া ও রেল ষ্টেশন সড়কটি শেষ প্রান্তে রয়েছে কাঞ্চননগর পাড়ার আর সেই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে উঠেছে ১৭ টি ইট ভাটা। প্রতিনিয়ত মানুষজন ছাড়া চলাচল করে থাকে ১৫/২০ টি ইট বোঝাই ভারী ট্রাক। যার কারণে সড়কটির বিভিন্নস্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টিতে কাদা পানি জমে একাকার হয়ে পড়েছে। এতে করে হালকা যানবাহনগুলো চলাচলে যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,দুর্ভোগের স্বীকার স্থানীয়রা। জোয়ারা ও কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা পুলিশের ওসি তদন্ত মো:- ছমি উদ্দিন ,হাবিবুর রহমান,সরওয়ার কামাল হিরু বলেন, জনগুরত্বপূর্ণ দীর্ঘ দিনের পুরাতন রেল ষ্টেশন সড়কটি অবহেলিতভাবে পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: রেজাউন নবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,কাঞ্চননগর রেল ষ্টেশন সড়ক সংস্কারের জন্য ২৪ লাখ এবং ৮৭লাখ টাকায় দুইবার টেন্ডার ড্র করা হয়েছিল। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট টিকাদার কাজটি হয়নি সেই ব্যাপারে প্রতিবেদককে ওই কর্মকর্তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারপরও তিনি ওই সড়ক সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।