বগুড়ায় পলিথিনের গুদাম, লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালানো, মেয়াদোত্তীর্নের খাদ্য পণ্য বিক্রয় সহ পৃথক ছয়টি স্থানে বিভিন্ন আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ১ লাখ সাড়ে ২২ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
২৪ আগস্ট সকাল থেকে এই ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, রোমানা রিয়াজ, মো. তাসনিমুজ্জামান, মো. নাছিম রেজা ও পাপিয়া সুলতানা।
বেলা ১২ টার দিকে শহরের বড়গোলা টিনপট্টি এলাকায় একটি পলিথিনের গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী হাকিম মো. নাছিম রেজা। সেখানে বাজারজাতকরণ ও বিক্রয়ের অপরাধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ধারায় গুদাম মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। এ সময় গুদামের প্রায় ১০ টন পরিমাণ পলিথিন জব্দ করা হয়। পলিথিনগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের জিম্মায় রয়েছে।
নির্বাহী হাকিম মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর একটি আদালত সড়ক পরিবহন আইনের আওতায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৬৬ ও ৯২ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন অবস্থায় মোটর সাইকেল চালানোর অপরাধে ৩ টি মামলা করা হয়। এসব অপরাধে ১৫০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী হাকিম।
আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে চারমাথার লাবানুন, আকবরিয়া, দই ঘর সহ মোট ৪ টি দইঘরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ ছাড়া খাদ্য পণ্য বিক্রয় করায় এই জরিমানা করেন নির্বাহী হাকিম জনাব রোমানা রিয়াজ ও পাপিয়া সুলতানা।
সোমবার নির্বাহী হাকিম মো. তাসনিমুজ্জামানের নেতৃত্বে আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ১৯৫৬ অনুযায়ী লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে দুটি মামলা দেন আদালত। এতে দুই জন সিমেন্ট ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী হাকিম।
এসব অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হোসাইন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায়, পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহ আলী এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।