বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় এসএসসি পরীক্ষার্থী শ্যালিকাকে (১৬) অপহরণ মামলায় দুলাভাই আবদুল কুদ্দুসকে (৩১) ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির জনাকীর্ণ আদালত এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন ও এজাহার সূত্র জানায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব বাজার এলাকার বুলু সরদারের মেয়েকে পার্শ্ববর্তী নড়াইল গ্রামের নুরু ইসলামের ছেলে আবদুল কুদ্দুস বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্যালিকা এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন।
স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকাবস্থায় কুদ্দুস গত ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পীরব বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্যালিকাকে অপহরণ করেন।
তাকে প্রথমে ঢাকায় নেয়া হয়। এরপর চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে রাখা হয়। এ ব্যাপারে অপহৃতার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম ওই বছরের ৯ জানুয়ারি শিবগঞ্জ থানায় ভগ্নিপতি কুদ্দুসসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামি ভগ্নিপতি কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এসআই আবদুল বাশির ২৪ এপ্রিল আদালতে শুধু ভগ্নিপতি কুদ্দুসের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামি আবদুল কুদ্দুস জামিনে ছাড়া পেলেও সোমবার আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালত রায় ঘোষণার পর তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট তানজিদা খাতুন উপমা মামলা পরিচালনা করেন।