বাউফলে আগস্ট মাসে এক যুবলীগ নেতা ও কলেজ ছাত্রসহ তিন খুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাওন খন্দকার (২৫) নামের এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছেন। বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। শাওন টঙ্গি সরকারী কলেজের স্নাতকোত্তর ছাত্র। তার বাবার নাম জাকির হোসেন।
জানা গেছে, শাওন ঈদুল আযহার ছুটিতে বাউফলের বিলবিলাস গ্রামের বাড়ি আসেন। ঘটনার আগের দিন রবিবার রাতে পাশ্ববর্তী মদনপুর গ্রামের ফয়েজ রাজার ছেলে রাজিব রাজা (২৪) বিলবিলাস বাজারে বসে শাওন খন্দকারের চোখে টর্স লাইটের আলো মারে। এতে শাওন ক্ষুব্দ হয়। এসময় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। বাজারের লোকজন তাদেরকে নিভৃত করে। পরের দিন সোমবার বেলা ১১টার সময় শাওন বাড়ি থেকে বিলবিলাস বাজারে এসে একটি দোকানে চা পান করছিল। তখন রাজিব রাজা এসে ওই ঘটনার জের ধরে শাওনকে পেটে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে। পরে বাজারের লোকজন শাওনকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ শাওনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছেন। সুরতহাল শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘাতক রাজিব রাজাকে গ্রেফতার করেছে।
শাওনের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন ঘাতক রাজিব রাজা একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে বাউফল থানায় গ্রেফতারি পরওনা থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।
এ ছাড়াও গত ২ আগস্ট কেশবপুর বাজারে প্রতিপক্ষের হাতে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রকিব উদ্দিন রুম ও যুবলীগ কর্মী ইশাত খুন হয়। এর আগে গত ২৪ মে বাউফল থানার সামনে তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে করে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের উপস্থিতিতে তার ক্যাডারদের হাতে তাপস নামের এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়। পর পর এসব খুনের ঘটনায় বাউফলের সর্বত্র জনমনে ব্যপক ভীতি ও হতাশা বিরাজ করছে।