মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্য দিয়ে তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম থেমে থাকেনি । গ্রাম আদালতের প্রতি আস্থা রেখেছেন সাধারন মানুষ। মাত্র ১০টাকা ফি দিয়ে ফৌজদারী এবং ২০টাকা ফি দিয়ে কম খরচে দেওয়ানী মামলা দায়ের করতে পারেন ভুক্তভোগীরা।গরিব,অসহায় মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত।
গ্রাম আদালতের নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্য আবেদনকারী ও প্রতিবাদী তার মামলার নিষ্পক্তি করতে পারবেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প সময়ে অল্প খরচে এই সুবিধা পেয়ে খুব খুশি এলাকার জনগন। ছোটখাট ঝামেলায় থানা পুলিশ কিংবা কোটকাচারী করতে হচ্ছে তাদের।বাড়িতে বসে হাতের নাগালে গ্রাম আদালতের বিচার পেয়ে বেশ উচ্ছসিত জনগন।
সরুলিয়া ইউপির গ্রাম আদালত সহকারী শংকর কুমার দাশ জনান জুলাই২০১৭ইং থেকে জুলাই২০২০ইং পর্যন্ত ১৭৪ টি মামলা গ্রাম আদালতে হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৪ টি মামলা আপোষে,প্রাক বিচারে,ও শুনানীতে নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি ২০ টি মামলা খারিজ এবং ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জুজখোলা গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান আমি দীর্ঘদিন ধারের ৫০০০ টাকা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ফেরত পেয়েছি। বড়বিলা গ্রামের মৃতঃ ছেয়ামউদ্দীনের পুত্র আতিয়ার মোড়ল জানান শাহাজান মোড়ল জোর পূর্বক তার ২.৫ শতক জমি দখল করে নেয়। যা তিনি গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দখল স্বত্ত ফিরে পান। সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম আদালতের বিচারক মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন যে, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নেন নাগরিকের মধ্যে আইনী সহায়তা ও সুবিচার নিশ্চিত করা। সেই কারনে আমি দায়িত্বে আসার পর থেকেই গ্রাম আদালত সভা,সেমিনার,উঠান বৈঠক করে জনসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছি। এছাড়াও আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। যদিও বর্তমান সময়ে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তারপর ও চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের মহতি এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য। সর্বাপরি তিনি গ্রাম আদালতের কার্যক্রমেরর ধারা অব্যাহত রখার দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন।