নওগাঁর সাপাহারে নিখোঁজের ৩দিন পর নুরনবী (৬২) নামের এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের মাঝ খান দিয়ে প্রবাহিত হাড় ভাঙ্গা খাড়ি হতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করেছে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার বাদ নিশ্চিন্তপুর (টেটাপাড়া)গ্রামের মৃত: আলী মন্ডলের ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে ওই ব্যক্তি গ্রামের পার্শের¦ হাড় ভাঙ্গা খাড়ি পেরিয়ে তার আমবাগানে কাজ করতে যায়। সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফেরার সময় ওই খাড়িতে অবস্থিত বরেন্দ্র উন্ননয়ন কর্তৃপক্ষের স্থাপিত ক্রসডেমের স্লুইস গেটের উপর দিয়ে পার হওয়ার সময় প্রবাহিত পানির প্রবল স্রােত থাকায় নুরনবী পা ফসকে খাড়ির পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। রাতে ওই ব্যক্তি বাসায় ফিরে না আসায় বাসার লোকজন খোঁজা খুজি শুরু করে। রাতেই বাগানে এসে ক্রসডেমের স্লইস গেটের পাশে ওই ব্যক্তির লুঙ্গি, সাট ও কোদাল দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন খাড়ির পানিতে খোঁজা খুজি শুরু করে। সারারাত খোঁজার পরেও তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে যায়। পরে এ সংবাদ জানা জানি হলে সোমবার সন্ধ্যায় পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরী এসে পুনরায় খাড়ির পানিতে খোঁজা খুজি শুরু করে তারাও ব্যার্থ হয়ে ফিরে যায়। এরপর মঙ্গলবার সকালে সাপাহার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবারু দল উদ্ধার তৎপরতায় আবারো ওই খাড়িতে নামে। অবশেষে পুলিশ ও ডুবুরী দল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পা ফসকে পড়ে যাওয়া স্লুইস গেট হতে প্রায় ৩কিলোমিটার নিচে দিঘীর হাট কলেজের নিকট ব্রীজের পাশের একটি গাছের ডালে আটকে থাকা অবস্থায় অর্ধগলিত অবস্থায় নিহত নুরনবীর লাশ উদ্ধার করে। লাশটি উদ্ধারের পরে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয় বলে পুলিশ জানায়। সাপাহার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।