অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীবিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে এখন ভাটায় পানি নামতে নতুন করে ভাঙছে মেঘনা। এদিকে ভাঙ্গন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভাঙনকবলিত স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার সকালে রামগতিতে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন মুন্সিরহাট বাজারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে করেন তারা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে ক্ষতিগ্রস্তরা।
এসময় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গণে বিস্তৃর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত ছয় মাসে আলেকজান্ডার ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বাজার এলাকার প্রায় দেড় কি. মি. এলাকা নদীতে ভেঙ্গে গেছে। ইতোমধ্যে চর গেসপা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাতুল বানাত দাখিল মাদ্রাসা, দুটি স্লুইচ গেট, পশ্চিম আলেকজান্ডার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনোয়ার উল্যা শিকদার প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। আর কয়েক হাজার বাসিন্দা ভিটেমাটি হারিয়েছন। হুমকির মুখে রয়েছে আলেকজান্ডার সদরে থাকা থানা, কোস্টগার্ড ভবন, ফায়ার সার্ভিস ভবন, আবহাওয়া অফিস, বিদ্যুতের উপকেন্দ্র, পৌর ভবন, বালুর চর ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, দক্ষিণ বালুর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর বালুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
ভাঙ্গণ অব্যাহত থাকায় আরও কয়েক হাজার মানুষ বসতবাড়ি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাসিন্দারা।
বক্তব্য রাখেন, রামগতি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক, স্থানীয় নাজিম উদ্দিন শিকদার, মো. হাবিবুল্লাহ, সাবেক আলেকজান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান সালেকজান বদ্দার প্রমুখ। তারা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ নেন নি।
তারা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে ভাঙ্গণ রোধের দাবি জানান।