গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরে বসবাসরত নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে নিজ বাসায় মারা গেছেন। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে লাশের জানাজা নামাজ শেষে কড়িহাতার বেগুনহাটি গ্রামের পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, দুই কন্যা ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি চাকুরী থেকে অবসরের পর দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা সদরের আদালতপাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন এবং সদর রোডে একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করতেন। করোনা আক্রান্তের পর গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
এদিকে কাপাসিয়ায় করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার নতুন করে আরো ৬ জন শনাক্ত ও একজন পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪০, মৃতের সংখ্যা ৭। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করলেও স্বাস্থবিধি মানছেনা বেশিরভাগ মানুষ ও দোকানপাটের ব্যবসায়ীরা। ব্যক্তিগত সুরক্ষা ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। অপরদিকে সুস্থ্য হয়েছেন ৩০৫ জন। প্রথমে একজনের মৃত্যুর পর কাপাসিয়ায় করোনো সনাক্ত হয়েছিল।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা জানান, মানুষের স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে ৮ এপ্রিল থেকে এপর্যন্ত ৩৪০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তাদের তিনজনকে কুর্মিটোলা ও মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অন্যদের কাপাসিয়ার আইসোলেশন সেন্টার সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজ এবং রায়েদে পল্লী কমিউনিটি হাসপাতালে ও বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ফলে ৩০৫ জন সুস্থ্য হয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা রোগিদের দিন রাত সেবা দেয়া হচ্ছে। কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানায়, সাধারণ মানুষদের স্বাস্থবিধি মেনে চলাচলের জন্য পুলিশ প্রশাসন শুরু থেকেই গণসচেতনতায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণসহ নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।