সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। আত্মহননকারী ঐ গৃহবধু মৌসুমি সাহা (৩২) তিনি থানার বলরামপুর গ্রামের উৎপল সাহার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৫আগষ্ট) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে পাটকেলঘাটার পল্লী বিদ্যুৎ রোড়ের সাহাবাড়িতে। এ সময় পুলিশ একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে বলে জানায়। চিরকুটে লেখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী আমার শশুর শাশুড়ি। দুই জানোয়ার আমাকে বাঁচতে দিলনা। আমার মৃত্যুর পরে যেনো ওদের বিচার হয়। আমার মত যেনো আর কোন মেয়েকে মরতে না হয়। আমার মেয়েটা যেনো আমার মায়ের কাছে মানুষ হয়। আমার স্বামীকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমি বেঁচে থাকলে আমার জানোয়ার শশুর শাশুড়ি আমাদের শান্তিতে থাকতে দেবে না। তাই আমাকে নিরূপায় হয়ে এই পথ বেঁচে নিতে হলো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার শশুর আর শাশুড়ি দায়ী। ” এমনই সুইসাইট নোট লিখে আত্মহননের পথ বেছে নিল সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা সদরের এক গৃহবধু মৌসুমি সাহাস। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে সুইসাইট নোট লিখে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মৌসুম সাহা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা সত্নানের জননী ছিলেন। পাটকেলঘাটা থানার (ওসি তদন্ত) জেলাøাল হোসেন গৃহবধুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন
এই ঘটনায় নিহতরে পিতা স্বপন সাহা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন আইনে শ্বশুর দীনবন্ধু সাহা ও শ্বাশুড়ি স্বপ্না রানী সাহা সহ ৪জনকে আসামি করে পাটকেলঘাটা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৭ তারিখ ২৫.৮.২০। এদিকে পুলিশ শ্বশুর দীনবন্ধু সাহা ও শ্বাশুড়ি স্বপ্না রানী সাহা আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। লাশের ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে গৃহবধুর লাশ সাতক্ষীরা মর্গে পাঠিয়েছে।