"দক্ষ হয়ে বিদেশ যান, মুজিব বর্ষের আহবান, দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্পদ দুই-মিলে" এই স্লোগানে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সেমিনার ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিবাসন প্রক্রিয়া প্রসারিত, সহজ, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল করনার্থে "বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা" শীর্ষক সেমিনার বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে এর আয়োজন করে সিরাজদিখান উপজেলা প্রশাসন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও জেলা জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন। আরো অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঈনুল হাসান নাহিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. তাহামিনা আক্তার তুহিন।
প্রেসব্রিফিংএ বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ৫ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ যুব বা যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানে ব্যাবস্থা করবেন। তাতে গড়ে প্রতি উপজেলায় ১ হাজার যুব বা যুব মহিলা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রাণালয় থেকে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান বিশে^র ১শ ৭৩ টি দেশে ১ কোটি ২০ লক্ষ্যের অধিক বাংলাদেশী কর্মী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ৩২ টি দূতাবাসে আমাদের মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব শ্রম উইং আছে। দেশে প্রবাসীদের সন্তানের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু আছে। বৈধভাবে বিদেশ গমনকারী কর্মী প্রবাসে গিয়ে অসুস্থ হলে চিকিৎসা বাবদ ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। প্রবাসে মৃত্যু হলে কর্মীর লাশ দেশে আনতে পরিবহন খরচ ৩৫ হাজার টাকা এবং মৃত কর্মীর ওয়ারীশকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। সম্প্রীতি প্রবাসীদের সুরক্ষায় বীমা পলিসি চালু করা হয়েছে। বিদেশগামী কর্মীকে স্বল্প সুদে ও জামানত বিহীন ঋণ প্রদান করা হয়। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ৬৩ টি শাখা অফিস কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশে ৬৪ টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) ও ৬টি ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির মাধ্যমে, গমনেচ্ছু কর্মীদের ৫৫ টি ট্রেডে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আরো নতুন ৪০ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মানের কাজ চলমান আছে। প্রতিটি উপজেলায় টিটিসি নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। জাপানে গমনেচ্ছু কর্মীদের বয়স ৩২ বছরের নিচে হতে হবে। জাপানী ভাষা ও ১৫ টি ট্রেডের যে কোন একটিতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এখানে কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো করে গমনেচ্ছুদের কোন অর্থ ব্যায় করতে হয় না। জাপানে গিয়ে ৩ মাস প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দিতে হয়। সরকারি ৩৩ টি টিটিসিতে জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বেসরকারি ১০০ টি জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি ইছাপুরা মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মালখানগর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, ডলি রানী নাগ, থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন, সমবায় কর্মকর্তা বিন্দু রানী পাল, প্রেসক্লাব সভাপতি ইমতিয়াজ বাবুল, কেয়াইন ্ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী, মধ্যপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল করিম, চিত্রকোট ইউপি চেয়ারম্যন নজরুল ইসলাম, রশুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম ও সাংবাদিকবৃন্দ।