শ্রীমঙ্গলের প্রসিদ্ধ বাইক্কা বিলসহ হাইল-হাওরে ফুটছে পদ্মফুল। গোলাপী আর সাদা পদ্মফুলে ভরে উঠছে বাইক্কা বিলসহ হাইল-হাওরের বিস্তৃর্ন এলাকা। পদ্মশোভিত এ দৃশ্য সহজেই মন কাড়ে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের।
সেন্টার ফর নেচারাল রিসোর্স স্টাডিজ ( সিএনআরএস) এর স্হানীয় সাইট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, গত জুলাই মাস থেকে হাইল-হাওরে পদ্মফুল ফুটতে শুরু করেছে।
ওয়ার্ল্ডফিস এর ডিভিশনাল এডমিনিস্ট্রেটর ও ফ্রেন্ডস অব বাইক্কা বিলের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, সাধারনত বাইক্কা বিলসহ হাইল-হাওরে মার্চ-এপ্রিল এবং জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মফুল ফুটে থাকে।
তিনি বলেন, হাইল-হাওরের স্বচ্ছ টলটলে পানিতে অনেক নীচ পর্যন্ত জলজ লতাগুল্ম দেখা যায়। আর জলের ওপর ফুটে থাকে অসংখ্য পদ্মফুল।
হাইল-হাওর এখন একটি নয়নাভিরাম জলাভূমি। যেখানে হাজারো শাপলা আর পদ্মফুল ফুটে। এখানে পাখিদর্শক আর প্রকৃতিপ্রেমীদের পদভারে মুখরিত থাকে প্রায় সারাবছরই।
বাংলাদেশের বাদাভূমি হিসেবে হাইল-হাওরের গুরুত্ব সর্বদাই স্বীকৃত। সম্প্রতি 'বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল' এ হাওরকে 'গুরুত্বপূর্ণ পাখি এলাকা' হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে তালিকাভুক্ত করেছে। এ হাওর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জীববৈচিত্র্যপূর্ন অঞ্চলগুলোর অন্যতম। হাওরটি ৯৮ প্রজাতির মাছের আবাসভূমি ও ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরনক্ষেত্র।
সর্বোপরি বলা যায়, হাজারো পদ্মফুল হাইল-হাওরে প্রশান্তি বয়ে দিয়েছে। অপরুপ সৌন্দর্যম-িত হাজারো পদ্মফুল অবলোকনে শুধু চোখ জুড়ায় না, মনও শীতল আনন্দে ভরে উঠে। পুলকিত হন দর্শনার্থী আর পর্যটকরাও।