পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ৯ জোড়া ট্রেন চালু হচ্ছে। এর মধ্যে ৬ জোড়া আন্তঃনগর ও ৩ জোড়া কমিউটার ট্রেন রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনগুলো চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতঃপূর্বে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা পত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ট্রেনগুলোর যাত্রা বিরতি ও যাত্রা শুরুর রেল স্টেশনে সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলের সহকারী চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল আওয়াল।
ট্রেনগুলো হচ্ছে- সান্তাহার-বুড়িমাড়ী-সান্তাহারগামী ৭১৩/৭১৪ নম্বর করতোয়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহীগামী ৭৩১/৭৩২ নম্বর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকাণ্ডরাজশাহীগামী ৭৫৩/৭৫৪ নম্বর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, রাজশাহী-খুলনা-রাজশাহীগামী ৭৬১/৭৬২ নম্বর সাগরদারী এক্সপ্রেস, দিনাজপুর-সান্তাহার-দিনাজপুরগামী ৭৬৭/৭৬৮ নম্বর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস, ঢালারচর-রাজশাহী-ঢালারচরগামী ৭৭৯/৭৮০ নম্বর ঢালারচর এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিরহাট-সান্তাহারগামী ১৯/২০ নম্বর বগুড়া কমিউটার, খুলনা-পার্বতীপুর-খুলনাগামী ২৩/২৪ নম্বর রকেট এক্সপ্রেস এবং পার্বতীপুর-চিলাহাটি-পার্বতীপুরগামী ২৭/২৮ নম্বর চিলাহাটি এক্সপ্রেস। পশ্চিমাঞ্চল রেলের ওই কর্মকর্তা আরোও বলেন, সকল ট্রেন পূর্বের সময় সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করবে। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইন থেকে যাত্রীরা সংগ্রহ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, আজ থেকে চালু হওয়া ৯ জোড়া ট্রেনের মধ্যে অধিকাংশ ট্রেন সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। এ ছাড়া ৩টি ট্রেনের শুরু ও গন্তব্যস্থল এ স্টেশন। এজন্য বাড়তি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, যাত্রীরা ছাড়া ষ্টেশনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। শারীরিক দূরত্ব মেনে ট্রেনে যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ষ্টেশনে যাত্রী সেবার মান বাড়ানো হয়েছে। ষ্টেশন চত্তর সার্বক্ষণিক পরিস্কার-পরিছন্ন করাসহ ও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।