বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মালগুদাম এলাকায় শিমুল হোসেন (৩২) নামের এক প্রতিবন্ধী হোটেল কর্মচারী খুন হয়েছে। বুধবার রাতের কোন একসময় এই খুনের ঘটনা ঘটে। শিমুল হোসেন সান্তাহার পৌর শহরের ইয়ার্ড কলোনি মাস্টারপাড়া এলাকার শাহাজাহান আলীর ছেলে। তিনি সান্তাহার ষ্টেশন রোডে অবস্থিত বিসমিল্লাহ হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ও জিঞ্জাসাবাদের জন্য পুলিশ চার জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সান্তাহার শহরের মালগুদাম এলাকায় বিসমিল্লাহ হোটেলের মিস্টি ও দই তৈরীর একটি কারখানা রয়েছে। সেখানে শিমূল রাতে ছিলেন। রাতের কোন একসময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পাশের দোকানের দেলোয়ার হোসেন নামের একজন শিমূলকে ডাকতে গেলে তার কোন সাড়া না পাওয়ায় দরজার ফাঁক দিয়ে শিমুলের দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। পরে আশপাশের লোকজনকে ডেকে ঘরে ঢুকে শিমুলের মৃতদেহ দেখতে পায়। এ সময় শিমুলের মুখ বালিশ ও কাঁথা দিয়ে জড়ানো ছিল। লাশের সুরুতহালের দায়িত্বে থাকা সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁিড়র উপপরিদর্শক আবদুল ওয়াদুদ জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে শিমুলকে বালিশ ও কাথাঁ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিক এমরান বলেন, শিমুল শারিরীক প্রতিবন্ধী এবং অত্যান্ত নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় শিমুলের বাবা শাহাজাহান আলী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।